কীভাবে কালো টাকা সাদা করব? এই প্রশ্নের উত্তর সবথেকে বেশি খুঁজল মোদীর রাজ্যই
সৌরভ পাল: ৮ নভেম্বর, ২০১৬, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘোষণা করেন, রাত ১২টা'র পর থেকেই ভারতে নিষিদ্ধ ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। কালো টাকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস, জাল নোট, তিন 'ব্যাধি'কে দমন করতেই কড়া দাওয়াই দিতে চেয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। একটানা ৭ দিন, দেশের আম জনতা দিক বিদিক শূন্য হয়ে ঘুরছে, মিলছে না সুরাহা।
জমানো টাকা কীভাবে ব্যাঙ্কে রাখা যাবে! যাদের ঘরে গচ্ছিত আছে 'কালো টাকা' তাঁরাই বা কী করবে? সরকারের সার্কুলার, আড়াই লাখের ওপর জমা করলেই আয়করের হানা হবে আমানতকারীর বাড়িতে। তবে উপায় কী? শেষমেশ 'সব জান্তা' গুগুলের কাছেই দরবার করেছে আম জনতা।
প্রশ্ন এক- হোয়াট টু ডু উইথ ফাইভ হান্ড্রেড থাউসেন্ড নোট! (৫০০ এবং হাজারের নোট দিয়ে কী করব?)
প্রশ্ন দুই- কনভার্ট ব্ল্যাক মানি টু হোয়াইট! (কালো টাকা সাদা করব)
প্রশ্ন তিন- হাও টু কনভার্ট ব্ল্যাক মানি টু হোয়াইট মানি! (কালো টাকা সাদা করার উপায় কী)
প্রশ্ন চার- হোয়াট টু ডু উইথ ব্ল্যাক মানি! (কালো টাকা দিয়ে কী করব)
গুগুলে এই চার প্রশ্নই বেশি বার সার্চ করেছে ভারতের আম জনতা। এদের মধ্যে গুজরাট হল এমন রাজ্য যেখানে 'কালো টাকা সাদাতে রূপান্তর করার উপায় কী', এই প্রশ্নই সবথেকে বেশি সার্চ করা হয়েছে গুগুলে। এরপর এই একই প্রশ্ন সবথেকে বেশি করেছেন ক্রমান্বয়ে হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, উত্তর প্রদেশ। কালো ধন দিয়ে এখন কী হবে, এই প্রশ্ন সবথেকে বেশি সার্চ করেছে হরিয়ানা, প্রথম পাঁচে আছে গুজরাট। 'কালো টাকা সাদাতে রূপান্তর', এই প্রশ্নও গুজরাট করেছে বারে বারে। মোদীর রাজ্য বলেই মনে হয় বিরোধীরা হাসছে।