ওয়েব ডেস্ক: বুড়ো বয়সের জন্য কতটা পুঁজি জমানো দরকার, তার হিসাব কষা প্রয়োজন কর্মজীবনের মেয়াদ কম থাকবে, এমনটাই ধরে নিয়েই। অন্তত এমনটাই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কীভাবে নিশ্চিন্তে কাটাবেন অবসরের পরও, রইল তার সহজ টোটকা।


প্রথম উপায় হল স্বাস্থ্যবিমা বদল


বিশেষজ্ঞ বলছেন,


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

• বর্তমানে যে-স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্পটি রয়েছে, তার তুলনায় বেশি টাকার একটি টপ আপ পলিসি করান। কোনও রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে প্রথম পলিসির ২.৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেলে, টপ আপ থেকে (যতটা বিমামূল্য, ততটা) টাকা পাওয়া যাবে।


• টপ আপ পলিসির বিমামূল্য যেন বেশি হয়। কারণ বয়স আরও বেড়ে গেলে এবং রোগ-জ্বালা বাড়লে পরে সেই সুযোগ না-ও মিলতে পারে। মিললেও তখন খরচ পড়বে বিপুল।


আপনি যদি আপনার পরিবারের অর্থাত্ আপনার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হল, তাহলে পারিবারিক সূত্রে আপনার বাবা মায়ের সম্পত্তি আপনারই, তাই আগে থেকে নিজের আলাদা করে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বানানোর প্রয়োজন নেই।


• একবার অবসর নিয়ে নেওয়ার পরে পিপিএফ ও এনএসসি-র মতো প্রকল্পে টাকা আটকে রাখতে পারবেন না। তাই আপৎকালীন পরিস্থিতিতে নগদের প্রয়োজন তো রয়েইছে। এই সম্ভাবনার কথা ভেবে কিছুটা টাকা সরিয়ে রাখুন আগেই।


• বন্ড, ইপিএফ, পিপিএফ, কেভিপি ও এনএসসি এবং এলআইসি-র মেয়াদ শেষে পাওয়া টাকা আরও বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন লগ্নি-পণ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।


রইল টাকা জমানোর বেশ কিছু সহজ উপায়


যেমন—


ডেট বা ঋণপত্র ভিত্তিক ফান্ডে টাকা রাখতে হবে।


বাজার থেকে কিছু করমুক্ত বন্ড কিনুন।


ব্যালান্সড ফান্ডে দীর্ঘ মেয়াদে লগ্নি করা ভাল। মাসিক ডিভিডেন্ড মিলবে।


ব্যাঙ্কের ফিক্সড ডিপোজিটের বদলে ডেট ফান্ডে টাকা রাখা ভাল।


ডাকঘরের এমআইএস প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া উচিত।


কিছুটা বাড়তি অর্থ হাতে এলে মাসে মাসে ইকুইটি বা শেয়ার নির্ভর ফান্ডে এসআইপি শুরু করা যেতে পারে।