বাজ পড়ার হাত থেকে রক্ষা পেতে কী কী করবেন (দেখুন ভিডিও)
ভোরের আলো ফুটতেই মাথায় চড়ে বসছেন সূর্যদেব। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করছে মানুষ। যদিও আবহাওয়া দফতরের খবর, খুব শিগগিরই আসবে কালবৈশাখী। কালবৈশাখী মানেই কালো অন্ধকার করে মেঘ, ঝোড়ো হাওয়া আর বজ্র বিদ্যুৎ। প্রতি বছর এই সময় বাজ পড়ে মারা যান বহু মানুষ। বেশিরভাগ বাজের কবলে পড়েন ফাঁকা জায়গায় থাকা মানুষেরা। ঠিক কী করলে রক্ষা পাওয়া যাবে বাজের হাত থেকে?
ওয়েব ডেস্ক: ভোরের আলো ফুটতেই মাথায় চড়ে বসছেন সূর্যদেব। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় হাঁসফাঁস করছে মানুষ। যদিও আবহাওয়া দফতরের খবর, খুব শিগগিরই আসবে কালবৈশাখী। কালবৈশাখী মানেই কালো অন্ধকার করে মেঘ, ঝোড়ো হাওয়া আর বজ্র বিদ্যুৎ। প্রতি বছর এই সময় বাজ পড়ে মারা যান বহু মানুষ। বেশিরভাগ বাজের কবলে পড়েন ফাঁকা জায়গায় থাকা মানুষেরা। ঠিক কী করলে রক্ষা পাওয়া যাবে বাজের হাত থেকে?
বজ্র বিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সময় আপনি যদি থাকেন কোনও খোলা মাঠে তবে কোন জামাকাপড় পরবেন? ওয়েটসুট, সুপারম্যান কস্টিউম নাকি যোদ্ধাদের মতো লোহার বর্ম? শুনতে অবাক লাগলেও লোহার বর্মই হবে সঠিক উত্তর। ধাতুর মধ্যে দিয়ে ইলেকট্রন সবথেকে তাড়াতাড়ি প্রবাহিত হয়। তবে বাজ থেক বাঁচতে লোহার বর্ম কেন? এই একই কারণে। বাজ পড়ার পর ইলেকট্রন লোহার মধ্যে দিয়ে এতটাই তাড়াতাড়ি প্রবাহিত হয়ে যায় যে তা ভিতরের জিনিসে প্রভাব ফেলে না। পদার্থবিদরা এই ধরনের ধাতব আবরণকে বলেন 'ফ্যারাডে কেজ'। 'ফ্যারাডে কেজ'-এর সবথেকে চলতি উদাহরণ হল গাড়ি। গাড়ির আবরণ ধাতুর হয়। তাই বাজ পড়ার সময় কেউ গাড়ির ভেতর থাকলে বিদ্যুৎ তাঁকে ছূঁতে পারে না। বাইরের ধাতব আবরণ হয়ে তা সোজা মাটিতে চলে যায়।
কিন্তু আপনি যদি খোলা মাঠে থাকেন এবং আপনার কাছে লোহার আবরণ না থাকে তবে কী করবেন? যদি সোজা দাঁড়িয়ে থাকেন তবে আপনার শরীর হবে সবথেকে ভাল মাধ্যম। বিদ্যুতপৃষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা অবধারিত। আবার যদি মাটিতে শুয়ে পড়েন তবে ঘটবে একই বিপদ। বাঁচতে হলে অর্ধেক বসুন এবং পা পায়ের পাতা দুটো একে অপরের উল্টো দিকে রাখুন যাতে দু'পায়ের আঙলগুলো বাইরের দিকে থাকে। তবে এতেও নীচের দিকের অঙ্গ প্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বাজ থেকে বাঁচার সবথেকে ভাল উপায় হল কোন ঢাকা জায়গায় বা বাড়ির ভিতরে থাকুন।