নিজস্ব প্রতিবেদন:  ভারতে প্রায় ৯৭ শতাংশ মহিলা ও ৬৮ শতাংশ পুরুষের শরীরে বাসা বেঁধেছে সুগার। রক্তের সেই মিষ্টিভাব কাটাতে তেঁতোই একমাত্র উপায় বলে মনে করেন একাংশ। অবশ্য, এই পন্থা অনেকাংশে সত্যি। কিন্তু, কোন কোন তেঁতো খাবার খেলে সুগারের হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে তা জেনে নিন-


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করলা


রোজ দুটো করে সপ্তাহে চারটে করলা শেদ্ধ খাওয়ার অভ্যাস করুন। যেন ফাঁক না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। করলায় রয়েছে Polypeptide – p, Vicine, এবং Charanti, যা শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। 


করলা থেকে পাচ্ছেন-


Vitamin C, A, E, B-1, B-2, B-3 এবং B-9.



পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং আয়রন।


 মেথির দানা


ভোজন রসিক ভারতীয়র কাছে মেথি খুবই জনপ্রিয় মশলা। কিন্তু রান্নার স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও এর গুণ অনেক। আধুনিক গবেষণা বলছে, ডায়াবেটিস থেকে দূরে থাকতে নিয়মিত মেথি খাওয়া খুব দরকার।



কী উপায়ে মেথি দানা খেলে সবচেয়ে ভালো উপকার হয়?


এক গ্লাস গরম জলে মেথি দানা ভিজিয়ে রেখে ১০ মিনিট থিতিয়ে যাওয়ার সময় দিন। এর পর লেবু আর মধু মিশিয়ে তরলটি পান করুন। রুটি, পরোটা, দোসা, ইডলি, রান্নার ঝোল, স্যালাড এবং মাছ ভাজাতেও মেথি পাতা দিয়ে রান্না করতে পারেন। স্বাদেও ভালো হবে, আর উপকারও মিলবে।


কালো জিরে


কালো জিরা একটি সাধারণ উপকরণ হলেও এর গুণাগুণ অসাধারণ।কালো রঙের ছোট্ট এই বীজে রয়েছে পটাসিয়াম, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।ডায়াবেটিস আক্রান্তদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কালো জিরার তেলের ভূমিকা অপরিসীম। এটি টাইপ-২ ডায়াবেটিসের জন্য বিশেষ উপকারী। এতে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসে বেশ কয়েকটি উপায়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।



আম পাতা


অবাক হচ্ছেন? আম পাতাও স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি যা অনেকেই জানেন না। আম পাতা ভিটামিন, এনজাইম, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং খনিজ উপাদানে ভরপুর। আম পাতায় মেঞ্জিফিরিন নামক সক্রিয় উপাদান থাকে যার অপরিমেয় স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আম পাতার ব্যবহার সুদূর প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। তাছাড়া উচ্চ রক্তচাপ ও ব্রঙ্কাইটিস, কিডনি ও পিত্তথলির পাথর দূরীকরণে, মাড়ির সমস্যায়, ডায়রিয়া নিরাময়ে এবং পেটের পীড়া প্রশমনেও আম পাতার ব্যবহার আজ সর্বজনস্বীকৃত।



কীভাবে খাবেন?


প্রথমে একটি বাটিতে দেড় গ্লাস জল নিয়ে ৫ মিনিট ফুটিয়ে আম পাতাগুলো এতে ঢেলে দিন। তারপর প্রায় ১৫ মিনিট হালকা আঁচে গরম করে নিন। তারপর ঠাণ্ডা করুন। সারারাত একটি বোতলে সংরক্ষণ করে সকালে উঠে খালি পেটে পান করুন।একটানা ১-২ মাস খেলে আস্তে আস্তে উপকার পেতে শুরু করবেন।


এছাড়া আম পাতাকে শুকিয়ে নিয়ে সেগুলোকে গুঁড়ো করে পাউডার করে নিন। তারপর প্রতিদিন সকালে ও বিকালে নিয়ম করে এক চামচ করে খান।
দেখবেন প্রথম পদ্ধতির মতই ম্যাজিকের মতো কাজ দিচ্ছে।


ডায়াবেটিস আসলে কোনো রোগ নয়, এটি একটি দীর্ঘ ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। এই অবস্থায় রোগীর শরীর দিন দিন অকেজো হতে থাকে। ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক না থাকলে শরীরে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় যা কিডনির উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।