নিজস্ব প্রতিবেদন: দেশের বেশিরভাগ পানশালাতেই চলে বিভিন্ন বিখ্যাত বা জনপ্রিয় গানের রেকর্ড। কোথাও আবার আলো-আঁধারিতে আলতো সুরে বাজে যন্ত্রসঙ্গীতের রেকর্ড। গায়ক বা গায়িকা দিয়ে গান-বাজনার আসর খুব কম পানশালাতেই চলে আজকাল। কারণ অবশ্যই বাড়তি খরচ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: বিমানের টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে আর লাগবে না ‘ক্যানসেলেশন চার্জ’!


কিন্তু গত ১৬ মে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিল্লি সরকার জানিয়ে দেয়, যে সমস্ত পানশালা এল-১৭ লাইসেন্স-এর অন্তর্ভূক্ত, তারা শুধুমাত্র গায়ক, গায়িকা বা পেশাদার বাদ্যযন্ত্র শিল্পীদের দিয়েই অনুষ্ঠান করাতে পারবেন। অর্থাত্, ওই সব পানশালায় শুধুমাত্র ‘লাইভ’ গান-বাজনার আসরের অনুমতি রয়েছে। তাহলে কি এই সব পানশালায় গানের রেকর্ড বাজানো চলবে না? কারণ, ‘লাইভ’ জলসা বর্তমান বাজারে যথেষ্ট খরচ সাপেক্ষ। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিখ্যাত বা জনপ্রিয় গানের রেকর্ড বাজানো যেমন সস্তা তেমনই সহজলভ্য। রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তিতে দিল্লির অসংখ্য পানশালার মালিকেরই মাথায় হাত পড়ে। কারণ, দিল্লিতে প্রায় ৮০০-৮৫০টি পানশালা এল-১৭ লাইসেন্স-এ চলছে। আর এগুলির বেশিরভাগই গানের রেকর্ড বাজিয়েই ক্রেতাদের মনোরঞ্জনের রসদ জোগায়। তাই এই সরকারি বিজ্ঞপ্তিকে ঘিরে হইচই শুরু হয়ে যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিতে থাকেন অনেকেই।


আরও পড়ুন: ২ অক্টোবর দূরপাল্লার কোনও ট্রেনেই মিলবে না আমিষ খাবার!


অবশেষে, বিভ্রান্তি কাটাতে বিজ্ঞপ্তির ব্যাখ্যা দিতে এগিয়ে এলেন দিল্লির আবগারি বিভাগীয় কমিশনার আমজাদ তাক। মঙ্গলবার তিনি জানান, দিল্লির আবগারি বিধির ৫৩ (৪) বিধি অনুযায়ী, এল-১৭ লাইসেন্স-এর অন্তর্ভূক্ত পানশালাগুলিতে শুধুমাত্র ‘লাইভ’ গান-বাজনার আসরের অনুমতি রয়েছে। তবে ওই বিধিতে কোথাও এ কথা লেখা নেই যে ওই পানশালাগুলিতে গানের রেকর্ড বাজানো নিষিদ্ধ। তিনি বলেন, “আমরা বেশ কিছু পানশালার বিরুদ্ধে শব্দ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পেয়েছি। এগুলিকে আমরা দিল্লি দূষণ নিয়ন্ত্রণ কমিটির কাছে পাঠাচ্ছি।”