Jagannath Rath Yatra 2022: পুরীর রথযাত্রা নিয়ে যে কথা না-জানলেই নয়...
জগন্নাথদেব, সুভদ্রা এবং বলরামকে চাক্ষুস করে রথের রশিতে টান দিতে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এই শ্রীক্ষেত্রে। করোনা আবহে ২ বছর বন্ধ থাকার পর, এবার বিধিনিষেধ না থাকায় স্নানযাত্রার দিনেই পুরীতে পুণ্যার্থীদের ভিড়। এই রথযাত্রা ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ রথযাত্রা (Rath Yatra 2022)। আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এই রথযাত্রা উৎসব। পুরীর মন্দিরে আজ ভক্তদের জনসমুদ্র। জগন্নাথদেব, সুভদ্রা এবং বলরামকে চাক্ষুস করে রথের রশিতে টান দিতে দেশ-বিদেশ থেকে ভক্তরা ছুটে আসেন এই শ্রীক্ষেত্রে। করোনা আবহে ২ বছর বন্ধ থাকার পর, এবার বিধিনিষেধ না থাকায় স্নানযাত্রার দিনেই পুরীতে পুণ্যার্থীদের ভিড়। এই রথযাত্রা ঘিরে রয়েছে নানা কাহিনী।
রথযাত্রা শুরু হয়েছিল, তা নিয়ে বিস্তর মতামত রয়েছে। অনেকেই ভরসা রাখেন ওড়িশার প্রাচীন পুঁথি ‘ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ’-এর ওপর। এই পুঁথি অনুযায়ী, মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্নর আমলে জগন্নাথদেব, বলরাম এবং সুভদ্রার মূর্তি তৈরি হয়। একইসঙ্গে রথযাত্রাও চালু হয়। বিভিন্ন ইতিহাসবিদদের দাবি, ১০৭৮ সালে তৈরি হয়েছিল পুরীর জগন্নাথ মন্দির। ১১৭৪ সালে মেরামরির পর তা বর্তমান জগন্নাথ মন্দিরের চেহারা নেয়।
কথিত রয়েছে রথযাত্রার দিন যদি রথের রশি ছোঁয়া যায়, তাহলে তাতে ১০০ যজ্ঞের সমান পূণ্য লাভ হয়। রথযাত্রায় যাঁরা অংশ নেন তাঁদের মোক্ষ লাভ হয় বলেও বর্ণিত রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ী একদা সুভদ্রা নিজের বড়ভাই কৃষ্ণ ও বলরামের কাছে নগর দেখার ইচ্ছা জাহির করেন। তখন দুই ভাই ও বোন রথে বসে নগর ভ্রমণের জন্য বের হন। পথে গুন্ডিচায় নিজের মাসির বাড়ি যান তাঁরা। এখানে ৭ দিন থাকেন তাঁরা। এ সময়ে নগরের যাত্রা পূর্ণ করে পুরী ফিরে আসেন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী তার পর থেকেই এখানে রথযাত্রার আয়োজন করা হয়ে আসছে।
হিন্দুধর্মের অন্যতম বিখ্যাত উৎসব হল এই রথযাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে আয়োজিত এই উৎসবটির কেন্দ্রস্থল ওড়িশা রাজ্যের পুরী শহরটি হলেও পশ্চিমবঙ্গেও এই রথযাত্রা যথেষ্ট জাঁকজমক সহকারে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন, Rath Yatra 2022: জগন্নাথের রথযাত্রা বিষয়ে এই বিশেষ তথ্যগুলি জানেন?