নিজস্ব প্রতিবেদন- তাঁর প্রোফাইল-এর বায়োতে লেখা- আমি হাত দিয়ে আঁকি না। আঁকি মন থেকে। এই বাক্যের প্রতিটা শব্দ যে সত্যি তা প্রমাণ করে তাঁর আঁকা একেকটা ছবি। তিনি সত্যিই হাত দিয়ে আঁকেন না। মনের সমস্ত আবেগ, অনুভূতি, ভালবাসা তিনি কল্পনার রঙ তুলিতে মিশিয়ে নেন। তার পর জন্ম দেন একের পর এক অদ্ভুত সৃষ্টির। তাঁর শিল্পকলা দেখে অনেক সময় নিজের দুচোখে বিশ্বাস রাখতে পারেন না অনেকে। গরিবের সন্তান। তাঁকে এমন রূপও কেউ প্রদান করতে পারে! আর এই পৃথিবীতে নিঃস্ব, হতদরিদ্র মানুষের জন্য কারই বা এত সময় রয়েছে! কেই বা গরীবের সন্তানকে নিয়ে এত সময় খরচ করে! করণ আচার্য নামের কেউ কেউ করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শিল্পীর চোখে দেখলে পৃথিবী অন্যরকম হয়। এই কথায় যে কোনও ভুল নেই, তা প্রমাণ করে দেন করণ আচার্যের মতো শিল্পীরা। গরীবের সন্তানের মধ্যেও শ্রীকৃষ্ণের রূপ ছলকে পড়ে। একমাত্র শিল্পীরাই পারেন সেই ছবি খুঁজে বের করতে। একমাত্র শিল্পীর চোখ দিয়ে দেখলেই হয়তো এই পৃথিবীতে কোনও দীন-দরিদ্রের খোঁজ পাওয়া যাবে না। একমাত্র শিল্পীর রঙ-তুলিই হয়তো উচ্চ-নিচ, গরীব-বড়লোক, ভাল-মন্দের বিচার করে না। না হলে গরীবের সন্তানের এমন ছবি কি আর ভাবা যায়! করণ আচার্য একটি গরীবের সন্তানকে শ্রীকৃষ্ণের রূপ দিলেন। শুধু তাই নয়, সেই ছেলের মা-বাবাকে শ্রীকৃষ্ণের পিতা-মাতার রূপে আঁকলেন শিল্পী।


আরও পড়ুন-  চোখ ও মনের স্বাস্থ্য রক্ষায় দূরে থাকুন স্মার্টফোন থেকে! কাজে লাগান এই ৬টি অব্যর্থ কৌশল



করণ আচার্যের রঙ তুলিতে দেবতারা জীবন্ত হয়ে ওঠেন। তবে তিনি মানুষের মধ্যেই খোঁজেন ভগবান! আর তাই হয়তো তাঁর হাতে আঁকা ছবি এত জীবন্ত হয়ে ওঠে। করণ আচার্যের আঁকা প্রায় প্রতিটি ছবিই বিস্ময় ছড়া। তবে এবারের আঁকা ছবিটি যেন একেবারে বিরল। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার হতেই লোকজন শিল্পীর কল্পনাশক্তিতে বিস্ময় প্রকাশ করছেন। কী থেকে কী বানানো যায়, তা বোধ হয় শিল্পীদের থেকেই শিখতে হয়। তাঁর সেই শিল্পকর্ম দেখে বিশ্বের বহু দেশে অসংখ্য মানুষ গুণমুগ্ধ।