ওয়েব ডেস্ক: দীপাবলি হোক কিংবা দিওয়ালি। আসলে আলোর উত্‌সব। আর আলোর উত্‌সব মানেই প্রচুর বাজি পোড়ানোর সঙ্গে প্রচুর আনন্দ, খাওয়া দাওয়া, চারিদিক আলোয় আলোয় সাজিয়ে তোলা আর হৈচৈ। কিন্তু আলোর উত্‌সবে বাজি পোড়ানো, মোমবাতি জ্বালানোর সময় সাবধানতাও অবশ্যই জরুরি। নাহলেই ঘটে যেতে পারে মারাত্মক দুর্ঘটনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগুনে পুড়ে যাওয়া, চোখের ইনফেকশন, ত্বকে অ্যালার্জি, শ্বাসকষ্টের সমস্যা এই সমস্ত সমস্যা দেখা দেয় এই সময়। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে। বাজির ধোঁয়া এবং বাজি পোড়াতে গিয়ে অনেক সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। কিন্তু তা কখনওই কাম্য নয়। তাই শিশুদেরকে এই সমস্ত দুর্ঘটনার থেকে দূরে রাখুন। সঙ্গে এও জেনে নিন এমন কোনও দুর্ঘটনা ঘটে গেলে কী করবেন।


সিনিয়র ডার্মাটোলজিস্ট ডাক্তার কিরণ ধর এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, আলোর এই উত্‌সবের সময়ে আমাদের ত্বক বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যালের সংস্পর্শে আসে। বাজিতে অনেক প্রকারের কেমিক্যাল ব্যবহৃত হয়। যা আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এছাড়া বাজি পোড়ানোর সময় যে ধোঁয়া নির্গত হয়, তাও আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসময় আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে লক্ষ করা যায়। জানুন এমন হলে কী করা দরকার।


আরও পড়ুন কালীপুজো মানেই জুয়ার আসর, তাই জানতে পারলেই খবর দিন পুলিসে


১) সারাদিনে প্রচুর পরিমানে জল খান। অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস।


২) ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে উচ্চমানের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।


৩) বাজি পোড়ানোর পর ঠান্ডা জল দিয়ে হাত, পা, মুখ এবং শরীরের খোলা অংশগুলি ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার উচ্চমানের কেমিক্যালহীন ক্লিনজার ত্বকের খোলা অংশগুলিতে ব্যবহার করুন।


শিশুদের ক্ষেত্রে কী করবেন জানুন-


১) প্রথমত শিশুদের একা বাজি পোড়াতে দেবেন না।


২) যাতে কোনওভাবেই বাজির আগুন লেগে পুড়ে না যায়, সেদিকে নজর দিন।


৩) বাজি পোড়ানোর সময়ে শিশুদের সঠিক মাপের সুতির পোশাক পরান। সিন্থেটিক জাতীয় পোশাক পরাবেন না। এতে আগুন লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


৪) কাছাকাছি সবসময় বড় বালতি করে জল রাখুন। যাতে যদি কোনওভাবে আগুন লেগে যায়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা জল দিতে পারেন।


পুড়ে গেলে কী করবেন জানুন-


১) প্রথমে ঠাণ্ডা জল দিয়ে পোড়া অংশ ধুয়ে দিন। সঙ্গে সঙ্গে অয়েনমেন্ট এবং অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ব্যবহার করুন। সফ্রাডেক্স বা ওই জাতীয় অয়েনমেন্ট ব্যবহার করুন।


২) যদি খুব বেশি পুড়ে যায়, তাহলে চিকিত্‌সকের পরামর্শ নিন।


৩) চোখে কোনও প্রকার ইনজুরি হলে চোখ রগড়াবেন না। ঠাণ্ডা জলের ঝাপটা দিন। যাতে চোখ থেকে ক্ষতিকর কেমিক্যাল ধুয়ে বেরিয়ে যেতে পারে।


৪) বাজি পোড়ানোর সময় কনট্যাক্ট লেন্স পরবেন না।


৫) বাজি পোড়ানোর পর ভালো করে হাত ধোবেন। নাহলে অ্যালার্জি হতে পারে।