বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়ায় পালিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া। হিন্দু পুরাণ অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়া বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ তিথি। অক্ষয় শব্দের অর্থ হল যার ক্ষয় হয় না। বৈদিক বিশ্বাসানুসারে এই তিথিতে কোন শুভকাজ করলে তার গুণ অনন্তকাল অক্ষয় থাকে। হিন্দু বাঙালির কাছেও এই দিনটা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। বছরের কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ শুরুর ক্ষেত্রে শুভ কামনা এবং আশীর্বাদের আকাঙ্খাতেই এই দিনটার অবতারণা। কিন্তু কেন অক্ষয় তৃতীয়াকে কোনও কাজ শুরুর জন্য শুভ মনে করা হয়? কী বিশ্বাস লুকিয়ে আছে এর পিছনে! আসুন জেনে নেওয়া যাক:


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

• অক্ষয় শব্দের অর্থ যার ক্ষয় বা বিনাশ নেই। প্রতি বছর চান্দ্র বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালন করা হয় এই অক্ষয় তৃতীয়া। এই দিনটিকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশেষ করে এই দিনটিকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।


• এই দিনটাতেই পরশুরামের জন্ম হয়। পরশুরাম ছিলেন বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার।


• হিন্দুদের বিশ্বাস, আজকের দিনেই বেদব্যাস, গণেশের সাহায্যে মহাভারত মহাকাব্য রচনা শুরু করেছিলেন।


• শোনা যায়, এ দিনই রাজা ভগীরথ গঙ্গাকে মর্ত্যে নিয়ে এসেছিলেন। ঐতিহাসিকদের মতে, নদ-নদীর অববাহিকাতেই মানবসভ্যতার বিকাশ ঘটেছে। প্রাচীন মানবসভ্যতার ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ বর্তমান। হিন্দুদের বিশ্বাস, সনাতন সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে গঙ্গা নদীর। মহাভারতের বর্ণনাতেও এই নদীর উল্লেখ রয়েছে।


• মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী, কৃষ্ণ এবং সুদামা ছিলেন অভিন্ন-হৃদয় বন্ধু। কংস বধের পর কৃষ্ণ রাজার হলে এই বিশেষ দিনেই সুদামা এসেছিলেন তাঁর প্রিয় বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে।


• ধন-সম্পদের দেবতা কুবের মা লক্ষ্মীর কাছে একবার বর চেয়েছিলেন। হিন্দু শাস্ত্রের বর্ণনা অনুযায়ী, মা লক্ষ্মী আজকের দিনেই কুবেরের তপস্যায় মুগ্ধ হয়ে তাঁকে প্রচুর ধনসম্পদ উপহার দিয়েছিলেন।


• হিন্দুদের আরাধ্য দেবী অন্নপূর্ণার জন্মও হয়েছিল অক্ষয় তৃতীয়ায়।


• এ দিনই সত্যযুগ শেষ হয়ে ত্রেতাযুগের সূচনা হয়।


তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, বাংলা মতে বছরের শুরুর দিন না হওয়া সত্ত্বেও হিন্দু তথা বাঙালির কাছে এই দিনটি কেন এত তাত্পর্যপূর্ণ!