নিজস্ব প্রতিবেদন: এমন অনেক প্রচলিত ধারণা বা বিশ্বাস রয়েছে, যেগুলি আমরা বছরের পর বছর ধরে মেনে আসছি। যেমন, মেয়েদের সন্ধ্যাবেলায় চুল বাঁধতে নেই বা রাতে কুকুরের কান্না অশুভ বা অমঙ্গল ডেকে আনে ইত্যাদি। মেয়েদের সন্ধ্যাবেলায় চুল না বাঁধার ‘সংস্কার’ এখন অনেকেই মানেন না। বর্তমানের কর্মব্যস্ত জীবনে যে সব মহিলারা চাকরি করে, ঘর-সংসার সামলান, তাতে এই ধরনের কোনও ‘সংস্কার’ তাদের পক্ষে মেনে চলা সম্ভব নয়। তবে রাতে কুকুর কাঁদলে অশুভ বা অমঙ্গল কিছু একটা ঘটতে চলেছে, এই ধারণা বা ‘সংস্কার’ এখনও অনেকের মনেই বদ্ধমূল। তাই কোনও কুকুরকে কাঁদতে দেখলে এখনও অনেকেই তাড়িয়ে দেন বা তাদের কান্না থামানোর নানা চেষ্টা করেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যাঁরা কোনও রকম ধর্মীয় সংস্কার বিশ্বাস করেন না, তাঁদেরও অনেকেই মনে করেন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আবহাওয়ার পরিবর্তন সবার আগে টের পায় পশু-পাখিরাই। তাই এলাকায় কুকুরের কান্নাকেও তাঁরা সেই ভাবে ব্যাখ্যা করেন।


আরও পড়ুন: সময়টা ভাল যাচ্ছে না? সব কাজই বাধা পড়ছে? কাজে লাগান কর্পূর


আবার যাঁরা জ্যোতিষ বা প্রেততত্ত্ব নিয়ে চর্চা করেন তাঁদের মতে, কোনও অশরীরির উপস্থিতি টের পেলে কুকুর কাঁদে বা চিৎকার করে জানানোর চেষ্টা করে। এ তো গেল প্রচলিত ধারণা বা জ্যোতিষ বা প্রেততত্ত্বের ব্যাখ্যা। এ বার দেখে নেওয়া যাক এ বিষয়ে বিজ্ঞান কী বলছে...


১) বেশির ভাগ কুকুররাই একা থাকতে পছন্দ করে না বা একা থাকতে চায় না। তাই একা থাকলেই সঙ্গীদের ডাকার জন্য এমন ভাবে চিত্কার করে যা শুনে কান্না বলে মনে হয়।


২) কুকুর কাঁদে না। ওরা ওই ভাবে আওয়াজ করে নিজের অবস্থানটা সঙ্গীদের জানায়। একত্রিত হওয়ার জন্য সঙ্গীদের বিশেষ বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করে যা শুনে আমাদের মনে হয় কুকুর কাঁদছে।


৩) পশুপ্রেমী বা পশু-পাখিদের চিকিত্সকদের মতে, কুকুরের চোট-আঘাত লাগলে, ব্যথা, যন্ত্রণা হলে বা শরীরে কোনও কষ্ট হলে তা জানাতেই ওই ভাবে আওয়াজ করে সঙ্গীদের ডাকে সাহায্যের জন্য।