ওয়েব ডেস্ক: আমরা প্রত্যেকেই দেবাদিদেব মহাদেবকে বাঘ-ছাল পরিহিত বেশে দেখেছি। দেখেছি, তিনি যখন ধ্যানমগ্ন থাকেন, তখন সেই বাঘ-ছালের উপর বসেই ধ্যান করেন। ভগবান মহাদেবকে এছাড়া আর কোনও পোশাক পরিহিত অবস্থায় দেখা যায়নি। তিনি এই বেশেই আমাদের কাছে পরিচিত। কিন্তু জানেন কি, তিনি কেন এমন পোশাক পরেন? এই পোশাক পরার পিছনের ইতিহাসটা কী?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন জানুন বাবা-মায়ের অবসেশন কীভাবে ক্ষতি করছে সন্তানের


শিব-পূরাণ অনুযায়ী, দেবাদিদেব মহাদেব আদুর গায়ে বন-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতেন। একদিন তিনি এক বনে পৌঁছলেন। সেখানে কয়েকজন ঋষি তাঁদের পরিবার নিয়ে থাকতেন। যখন মহাদেব আদুর গায়ে বনে ভ্রমণ করতেন, ওখানে বসবাসকারী মহিলাদের তা বিভ্রান্ত করত। যদিও এই বিষয়ে মহাদেব কিছুই জানতেন না। তিনি নিজের মতোই বিচরণ করতেন। মহাদেবের এই কাণ্ডে ওখানে বসবাসরত ঋষিদের মধ্যে বিক্ষোভ তৈরি হল যে, তাঁদের স্ত্রী-রা তাঁদের ছেড়ে ওই যুবা ঋষির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। তো তাঁরা মহাদেবকে শিক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা করেন।


পরিকল্পনা মতো ঋষিরা মহাদেবের ভ্রমণ পথে একটা বড় গর্ত খুঁড়ে রাখলেন। শুধু তাই নয়, ওই গর্তে একটি বাঘও ছেড়ে রাখলেন। কিন্তু মহাদেবের মহিমাই আলাদা। তিনি মুহূর্তের মধ্যে বাঘটিকে হত্যা করে তার চামড়া পরিধান করলেন। সেই তখন থেকেই তিনি কেবলমাত্র বাঘ-ছাল পরে থাকেন।


আরও পড়ুন বাবা-মায়ের ভালবাসা বদলে যাচ্ছে অবসেশনে, ফলে ছোট থেকেই বিগড়ে যাচ্ছে শিশু


এই ঘটনার পর ওই ঋষিরা অনুভব করেন যে, যুবা ঋষি রূপী মহাদেব কোনও সাধারণ ঋষি নন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা মহাদেবের চরণে লুটিয়ে পড়েন আশির্বাদের জন্য।