Kojagori Laxmi Puja 2022: ঘর থেকে দু`পা ফেললেই বাংলার একমাত্র লক্ষ্মীগ্রাম! গিয়েছেন কখনও?
Kojagori Laxmi Puja 2022: দুর্গাপুজোর আনন্দের অভাব পুষিয়ে দিল লক্ষ্মীপুজো। সাধারণ মানুষ বৃষ্টি ও বন্যার হাত এড়িয়ে বাঁচিয়ে রাখলেন পুজোর আনন্দ। তৈরি হল ভিন্ন পুজো-সংস্কৃতি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কলকাতার দুর্গাপুজো, চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো, ব্যান্ডেল-বাঁশবেড়িয়ার কার্তিক পুজো আর জয়পুর-খালনার লক্ষ্মীপুজো-- এই হল বিখ্যাত পুজোর মোটামুটি একটা তালিকা। এর মধ্যে জয়পুর-খালনার লক্ষ্মীপুজো নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি হয় না। কেননা, খুব বেশি মানুষ এটা জানেন না। অথচ তিনশো বছর ধরে এই গ্রামে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই লক্ষ্মীপুজো হয়ে আসছে। এ গ্রামে মোটামুটি দেড়শো বছর ধরে বারোয়ারি ভাবে লক্ষ্মী পুজো চলে আসছে।
আরও পড়ুন: Kojagori Laxmi Puja 2022: কেন এই তিথিতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়?
হাওড়ার খালনা গ্রামে লক্ষ্মীপুজোর দারুণ আড়ম্বর। খালনা এবং তার আশপাশের অঞ্চলের পুজোকে 'লক্ষ্মীগ্রাম' বলেই চেনেন স্থানীয় মানুষ। বহু বছর ধরে এই গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো হয়ে আসছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা আকারে বড় হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই লক্ষ্মীপুজোতেও এসেছে থিমের বাড়বাড়ন্ত।
কিন্তু কেন এখানে লক্ষ্মীপুজোর এত আড়ম্বর?
এই গ্রামের বাসিন্দাদের কথায়, 'খালনা গ্রামটি ভৌগোলিকভাবে একটু নীচু। তাই প্রায় প্রতি বছরেই দুর্গাপুজোর সময় ভারী বৃষ্টিতে বা নদীতে জোয়ার এলে গোটা গ্রাম জলমগ্ন হত। খালনা গ্রামে এমনিতেই প্রচুর খাল-বিল, নদী-নালা। বন্যা হয়ে যেত। এই বন্যার কারণে মানুষ নিশ্চিন্তে দুর্গাপুজো করতে পারতেন না। তাই এক সময় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ঠিক করলেন, দুর্গাপুজো না করে গ্রামে বরং লক্ষ্মীপুজো করা হোক।