নিজস্ব প্রতিবেদন: কালী পুজোর রাতে কালীঘাটে লক্ষ্মীপুজো হয়। অবাক হচ্ছেন? কালী মন্দিরে তো  সাধারণত কালী পুজোই হওয়ার কথা! যদি কালীঘাট নিয়ে কথা ওঠে তাহলে তো সেখানে কালী পুজোর হাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সেটাই সাধারণ মানুষের বিশ্বাস।  কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সমস্ত শক্তিপীঠে কালী বা শক্তির আরাধনা হলেও কালীঘাট হয় লক্ষ্মীপুজো।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গর্ভগৃহে কালীঘাটের দক্ষিণাকালীকে মহালক্ষী রূপে পুজো করা হয়।  


কিন্তু কেন? 


এর উত্তর দিতে হলে ঘাটতে হবে ইতিহাস। এখন যে আকারে কালীঘাট মন্দির আমরা দেখি, সেটি তৈরি করেন সাবর্ণ রায়চৌধুরীর পরিবার। মন্দির তৈরির পর থেকে গঙ্গাপ্রসাদ চক্রবর্তীকে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি রায়চৌধুরি পরিবারের  জ্ঞাতি ছিলেন। বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত ছিলেন।  কথিত আছে, গঙ্গাপ্রসাদই কালীপুজোর রাতে ধনলক্ষ্মীর পুজো শুরু করছিলেন এদিন।


কালী পুজোর দিন নিয়ম মেনে সকাল পাঁচটায় দক্ষিণাকালীর পুজো হয়।  সন্ধ্যেবেলা প্রথমে অলক্ষ্মী তাড়িয়ে মন্দিরে পাট কাঠি জ্বালিয়ে মন্দির প্রদক্ষিণ করা হয়। অলক্ষ্মী বিদায়ের পর গোটা মন্দির ধোয়া হয়। তারপর লক্ষ্মীপুজো শুরু হয়। সন্ধেবেলা লক্ষ্মীপুজো শেষ হয়ে গেলে রাতে ভোগ চড়ানো হয়।