কোন এলাকায় জামাইষষ্ঠী সম্ভব আর কোন এলাকায় নয়, জানেন?
কনটেনমেন্ট জোনে যে সমস্ত জামাইদের বাস, তাঁরা কী করবেন? রেড জোনেও তো আবার নানা রকম নিয়ম! জেনে নিন খুঁটিনাটি...
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের জন্য এ বছর পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া, ইদ— সবই ঘরবন্দি অবস্থায় কাটছে বাঙালির। এ বার পালা জামাইষষ্ঠীর। বৃহস্পতিবার জামাইষষ্ঠী। বছরের এই একটা দিনে ঘটা করে ‘জামাই আদর’ চলে বাঙালির ঘরে ঘরে।
কিন্তু এ বছর হয়তো জামাইদের কব্জি ডুবিয়ে পঞ্চ ব্যঞ্জন খাওয়া হচ্ছে না। মুখরোচক পঞ্চ ব্যঞ্জন কি আর ভিডিয়ো কলে কাওয়া যায়! তাই এ বছর জামাইষষ্ঠীর আশা ছেড়েছেন অনেক সদ্য বিবাহিত যুবকও। ট্রেন বন্ধ। রাস্তা-ঘাটে বাসের সংখ্যাও হাতে গোনা। তার উপর লাল, কমলার ঘেরাটোপ তো রয়েছেই।
লকডাউনে রেড আর অরেঞ্জ জোনের কথা ভুলে গেলে চলবে কী করে! যাঁরা ভাবছেন, বাইক বা গাড়িতে চড়ে শ্বশুরবাড়িতে অন্তত একবেলা ‘জামাই আদর’ ভোগ করতে সমস্যা কোথায়! ভুলে গেলে চলবে না, কনটেনমেন্ট জোনে যে সমস্ত জামাইদের বাস, তাঁদের এবার কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। তাই এ বারের জামাইষষ্ঠীটা তাঁদের জন্য তোলাই থাক! রেড জোনেরও আবার নানা রকম ভাগ। এ তার কাছে যেতে পারবে না, সে তার কাছে আসতে পারবে না বা এলেও সামাজিক অনুষ্ঠানে সামাজিক দূরত্বের গেরো!
আরও পড়ুন: বিয়ের গয়নার তালিকাতেও মাস্ক! তবে কাপড়ের নয়, রুপোর
এ সবের পর করোনা, আমফান বিধ্বস্ত বাংলায় জিনিসপত্রের দামে যে ভাবে আগুন লেগেছে, তাতে নমো নমো করে কোনও কোনও বাড়িতে হাত পুড়িয়েও জামাইষষ্ঠীর আয়োজন করা হচ্ছে। আর তাতেই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবেন কিছু ‘ভাগ্যবান’ জামাই। তবে তাও বাঙালির আটপৌরে ঐতিহ্য বেঁচে থাকুন এই দুর্যোগের দিনেও।