ওয়েব ডেস্ক: দেড় বছরেই বাচ্চাকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন? শিখছে ABCD থেকে নাম্বার? কোনও লাভ হচ্ছে না। অক্ষরজ্ঞান নয়, আপনার বাচ্চার প্রয়োজন স্পষ্ট ধারনা। তাতেই মেধার পূর্ণ বিকাশ ঘটে।
 
বাচ্চার প্রথম স্কুলে যাওয়া। প্রথম শেখা। প্রথম পড়া। মনে থাকবে কীভাবে? বাবা-মায়ের বড় চিন্তা এটাই। আগে, a for apple, b for ball, c for cat.. সকাল-সন্ধে নামতার মতোই মুখস্থ করতে বসিয়ে দেওয়া হত শিশুদের। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, একেবারে গোড়াতেই প্রয়োজন বাচ্চাদের স্পষ্ট ধারণা তৈরি হওয়া। তাহলেই তাদের মেধার পূর্ণ বিকাশ ঘটবে। সেই মতো বদল আসছে এই শেখা ও শেখানোর কায়দাতেও।


আরও পড়ুন- বিমানবন্দরে উঠে গেল 'সিকিউরিটি স্ট্যাম্প'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগেই অ্যালফাবেট বা বর্ণ নয়, বরং কোনও জিনিসের আকার, ধরন, মাপ এগুলি সম্পর্কে ঠিক মতো ধারণা তৈরি হলে, নেক্সট স্টেপ আরও সহজ হবে। ছবির মাধ্যমে দুটি বা তারও বেশি দূরত্ব বোঝানো হয় বাচ্চাদের, কোনটি কাছে-কোনটি দূরে। মূলত এই ধারণা দেওয়াই লক্ষ্য।


মাপ-জ্ঞান: ছবির সাহায্যে একইরকম দুটি জিনিসের আলাদা মাপের ধারণা দেওয়া হয়।


সংখ্যা-জ্ঞান: একটি গাছে কম ফল, আরেকটিতে হয়ত বেশি। এধরনের ছবি বাচ্চাদের দেখিয়ে, ধারণা দেওয়া হয় সংখ্যা সম্পর্কে।


পশুপাখি-জ্ঞান: ছবির মাধ্যমে বাচ্চাদের বিভিন্ন পশু ও পাখি চেনানো


রঙ-জ্ঞান: ছবি দেখিয়েই কোনটি কোন রঙ, তার ধারণা গড়ে দেওয়া যায় বাচ্চাদের মধ্যে।


গল্প-জ্ঞান: বহুক্ষেত্রে ক্লাসেই বাচ্চাদের গল্প শোনানো এবং তারপর তা থেকে প্রশ্ন করে করে, বহু জিনিস শিখিয়ে দেওয়া যায়।


লাইন-জ্ঞান: সিম্পল লাইন, তা থেকেই নানা অ্যালফাবেট তৈরি করে ফেলার টেকনিকও বাচ্চাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়।


আরও দেখুন- বাড়ির বাথরুমে পাওয়া গেল টাকার খনি


চাপ দিয়ে বা মুখস্ত করিয়ে নয়। মজা করে শিখলেই, মনে গেঁথে যায় জিনিসগুলি। এটাই বলছে ইউনিসেফের সমীক্ষা।