ওয়েব ডেস্ক: প্রেম কোনও নিয়মের গণ্ডি মানে না। মানে না কোনও সম্পর্কের বাঁধনও। যেকোনও সময় যে কেউ প্রেমে পড়তে পারেন যেকোনও মানুষের সঙ্গে। হতেই পারে সেই মনের মানুষটি আপনার খুব কাছের কেউ। আপনার মামা, কাকা অথবা খুড়তুতো দাদা কিংবা পিসতুতো দিদি। কিন্তু সত্যিই যদি এমনটা হয়, তবে আপনার সামনে চরম বিপদ। না, সামাজিক কোনও সমস্যা নয়। স্বগোত্রে বিয়ে করলে তাঁর থেকেও ভয়ঙ্কর বিপদের মুখে পড়তে চলেছেন আপনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্বামী,স্ত্রী, ছয় ছেলে মেয়ে, এক বিশাল পরিবার আহমেদ ও ফাতিমার। আপাত দৃষ্টিতে দেখে সুখী মনে হলেও সুখ তাঁদের ছেড়ে চলে গেছে ছোট ছেলের চার বছর বয়সের পর থেকেই।  জন্মের পর থেকেই আহমেদের ছোট ছেলে নানারকম নার্ভের রোগের শিকার হতে থাকে। যতদিন দিন যায় তত সমস্যা বাড়তে থাকে। ধীরে ধীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। বয়স বাড়লেও মানসিক বিকাশ হয় না। এভাবে চার বছর লড়াই চালানোর পর একদিন স্তব্ধ হয়ে যায় ছোট্ট শিশুটির হৃৎপিণ্ড। ছেলের শোক ভুলতে না ভুলতেই একই সমস্যা দেখা দিতে থাকে আহমেদের ৯ বছরের মেয়েরও। দিন যত এগোয় আরও খারাপ হতে থাকে মেয়েটির অবস্থা। বর্তমানে একই রোগে আক্রান্ত আহমেদ-ফাতিমার ৩ ছেলে-মেয়ে। শুনলে অবাক হবেন, ছেলে-মেয়েদের এই পরিণতির জন্য দায়ী আহমেদ-ফাতিমা নিজেই। কারণ আহমেদ ও ফাতিমার বিয়ে হয়েছিল স্বগোত্রে। স্বামী-স্ত্রীর আগে তাদের সম্পর্ক ভাই-বোন।


জেনেটিক সায়েন্স অনুযায়ী স্বগোত্রে বিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হতে পারে। একই গোত্রের সকলের শরীরেই মোটামুটি একই ধরণের জিন থাকে। ফলে একই গোত্রের দু'জন যখন পরবর্তী প্রজন্মের জন্ম দেয় তখন মা ও বাবার শরীরের একই রকম ঝুঁকিপূর্ণ জিন শিশুর শরীরে যায়। যা শিশুটির জন্য বিপদজনক হয়। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই এই ধরণের শিশুরা সিস্টিক ফাইব্রোসিস, থ্যালাসেমিয়া, ব্লাড ডিসঅর্ডার বা নার্ভাস ডিসঅর্ডারের মতো মারাত্মক রোগের শিকার হয়। যা শিশুটির মৃত্যুরও কারণ হয়। তাই স্বগোত্রে বিয়ে করার আগে হাজার বার ভেবে তবেই এগোন।