নিজস্ব প্রতিবেদন : পেশি-সংকোচন যা চলতি কথায় পেশিতে টান। এক্ষেত্রে আক্রান্ত পেশিতে মালিশ করার চেয়ে নুন জল, শীতল পরশ বা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার হতে পারে সহজ সমাধান। শরীরচর্চা, খেলাধুলা, শারীরিক পরিশ্রম যারা বেশি করেন তাদের পেশিতে টান ধরার বিষয়টি বেশি ঘটে। আবার যাঁরা পরিশ্রম করেন কম, তাঁদেরও হঠাত্‍ এই সমস্যা হতে পারে। যেভাবেই হোক না কেন, সমাধান রয়েছে হাতের মুঠোয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) নুন জল- পেশি শিথিল করতে এবং ক্ষত সারাতে সাহায্য করে নুন জল। উপকার পেতে নুন জলে স্নান করা যেতে পারে।


২) শীতল করা- ঠাণ্ডা ব্যথার অনুভুতি ভোঁতা করে, জ্বালা ভাব কমায় এবং আক্রান্ত মাংসপেশি শিথিল করে। পাশাপাশি রক্তনালীর পুনঃবিন্যাস করে ব্যথা কমায়। পাতলা তোয়ালেতে কয়েক টুকরা বরফ নিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে চেপে ধরলে অনেকটা উপশম মিলবে।


৩) অ্যাপেল সিডার ভিনিগার- ঘন ঘন পেশিতে টান পড়ার অন্যতম কারণ পটাশিয়ামের অভাব। অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে থাকে শরীরে তরলের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণকারী পুষ্টি উপাদানগুলো। এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে পেশির টান থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।


অনেকেরই রাতের বেলা পায়ের পেশিতে টান পড়ে। তার থেকে বাঁচতেও সাহায্য নেওয়া যেতে পারে অ্যাপেল সিডার ভিনিগারের। এক টেবিল-চামচ পরিমাণ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার, মধু ও ক্যালশিয়াম ল্যাক্টেট— এক গ্লাস গরম জলে মিশিয়ে প্রতিরাতে ঘুমোতে যাওয়ার আধ ঘণ্টা আগে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।


এছাড়াও হঠাত্‍ করে পেশিতে টান লাগলে কী করবেন? তার জন্য সমাধান আছে গৃহস্থের রান্না ঘরে।


১) হলুদ সর্ষে- কয়েক মিনিটে পেশির টান সারাতে পারে হলুদ সর্ষে। এতে আছে অ্যাসিটিক অ্যাসিড, যা ‘অ্যাসিটোলকোলিন’ তৈরিতে সাহায্য করে। যা ‘নিউরোট্রান্সমিটার’ হিসেবে পেশির কর্মকাণ্ড পরিচালনায় সাহায্য করে।


২) লবঙ্গ তেল- পেশি ফোলা রোধ করে লবঙ্গ তেল। পাশাপাশি এর অ্যানাস্থেটিক বা অনুভূতিনাশক উপদান ব্যথা উপশম করে। টান পড়া পেশিতে কুসুম গরম লবঙ্গ তেল দিয়ে বেশ কয়েকবার মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।


এবার আর চিন্তা করবেন না। পেশিতে টান পড়লে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এগুলি করলেই উপশম মিলবে।