সুদীপ দে: নটিংহ্যাম, ম্যানহাটেন বা প্যারিসের রাস্তায় নয়, খাস কলকাতার বুকে, ব্যস্ত রাস্তার পাসে গান শুনতে শুনতে স্যান্ডুইচে কামড় দেওয়ার সুযোগ... তা-ও একেবারে জলের দরে। সৌজন্যে ‘মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ’। মূলত কলকাতার মানুষকে ‘স্ট্রিট মিউজিক’-এর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই উদ্যোগ নিয়েছেন কলেজ পড়ুয়া, নীলাঞ্জন সাহা, অভিষেক দাস ও তাঁর বন্ধু রাজিত রায়। সন্ধে ৬টা থেকে ৮টা দক্ষিণ কলকাতার গোলপার্কের ফুটে গান শোনানোর পাশাপাশি চলে সাইকেলে করে স্যান্ডউইচ বিক্রি। ‘মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ’-এ পট্যাটো স্যান্ডউইচ, এগ স্যান্ডউইচ, চিকেন স্যান্ডউইচ সঙ্গে বাড়তি পাওনা ‘ধাঁধাঁর থেকেও জটিল তুমি’‌, ‘‌ভ্রমর’‌ কিংবা ফসিলস-এর জনপ্রিয় গান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শহরের বুকে পুরনো, ভাল বাংলা গানকে বাঁচিয়ে রাখা, গানের সুস্থ আড্ডার পরিবেশ গড়ে তোলা আর সেই সঙ্গে সঙ্গে মুখরোচক ‘টাইমপাস’— এটাই চেষ্টা ‘মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ’-এর নীলাঞ্জন, অভিষেক, রাজিতদের। ২০১৮ সাল থেকে একটু একটু করে গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে বর্তমানে বেশ নাম-ডাক হয়েছে ‘মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ’-এর। গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশনের পাশেই রয়েছে নীলাঞ্জনদের এই মুখরোচক আড্ডার ঠিকানাটি।



তবে ‘মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ’-এর শুরুটা এত মসৃণ ছিল না। আক্ষেপের সুরে নীলাঞ্জন জানান, “অধিকাংশ পথচারীই স্যান্ডউইচ খেয়ে চলে যান। পরে সোস্যাল মিডিয়ার সাহায্য নেওয়ার পর একটু একটু করে পরিচিতি বেড়েছে আমাদের। এখন অনেকেই গান শুনে থমকে দাঁড়িয়ে পড়েন। ছবিও তোলেন কেউ কেউ। কেউ মাঝে মধ্যে গলাও মেলান... এটুকুই পাওনা।”


আরও পড়ুন: এই শহরে থাকার একটাই শর্ত, বাদ দিতে হবে আপনার অ্যাপেনডিক্স!


পড়াশোনার পাশাপাশি স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন এই কয়েকজন তরুণ। কৌতুহলে ‘মিউজিক্যাল স্যান্ডউইচ’-এ একবার ঢুঁ মারলে এই সব গান-পাগল তরুণরা হয়তো তাঁদের স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কিছুটা রসদ পাবে, আরও কিছুটা পথ হয়তো এগিয়ে যাবে!