ওয়েব ডেস্ক: অনুষ্ঠান বাড়ি, অফিস পার্টি অথবা নেহাত মজার ছলেই মদ্যপান অনেকেই করেন। তবে বেশিরভাগ সময় মজার ছলে মদ্যপান করে নিজের হুঁশই হারিয়ে ফেলেন অনেকেই। তারপর বেহুঁশ হয়ে যা খুশি তাই করেন। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান করার পর এই ৭টি কাজ কখনওই করবেন না...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১. গাড়ি চালানো
মদ্যপ হয়ে গাড়ি চালানো কখনওই উচিত নয়। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে অ্যাক্সিডেন্ট করার নজির আমরা প্রতি নিয়তই পেয়ে থাকি। মদ্যপ অবস্থায় মানুষ জীবনের দাম দিতেই ভুলে যান। তাই মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি না চালিয়ে ট্যাক্সি অথবা বাসে করে বাড়ি যাওয়াই ভালো।


২. ছবি তুলে পোস্ট করা
মদ্যপ অবস্থায় কে কেমন ছিলেন তার ছবি অনেকেই তুলে নিয়ে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে পোস্ট করেন। তখন হুঁশ না থাকার কারণেই অনেক অপ্রীতিকর ছবিও তুলে পোস্ট করা হয়। যার জন্য পরে হাহুতাসের অন্ত থাকে না। তাই হুঁশ থাকাকালীন ফোন বা ক্যামেরা ব্যাগ অথবা পকেটে রেখে দেওয়াই ভালো।


৩. মেসেজ করা
মদ্যপ অবস্থায় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অনেকেই। এই আবেগের বশেই কাউকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি অথবা কাউকে নিজের মনের কথা বলে ফেলেন অনেকেই। তারপর স্বাভাবিক অবস্থায় এসে নিজের হাত কামড়ান।


৪. অচেনা ব্যাক্তির সঙ্গে প্রেমের ভান করা
মদ্যপ অবস্থায় অচেনা ব্যাক্তির সঙ্গে প্রেমের ভান অনেকেই করেন। তাই এই পরিস্থির সুযোগও নেন অনেকেই। তাই এমন কাজ না করাই ভালো।


৫. প্রাক্তন প্রেমিক অথবা প্রেমিকাকে ফোন করা
মদ্যপ অবস্থায় প্রাক্তন প্রেমিক অথবা প্রেমিকাকে ফোন করেন অনেকেই। বেহুঁশ অবস্থায় ফোন করে যা খুশি তাই বলেও দেন। যার জন্য নিজের সঙ্গে প্রাক্তনের বর্তমান জীবনেও অনেক বিঘ্ন ঘটে।


৬. অফিসের কাজ
মদ্যপ অবস্থায় অফিসের কোনও কাজ করাই উচিত নয়। এমনকি অফিসের কোনও সহকর্মীর ফোনও না ধরাই ভালো। এর ফলে কাজ ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।


৭. মারপিট করা
মদ্য পান করে মারপিট করা কখনও উচিত নয়। কারণ মদ্যপ অবস্থায় কোনও সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়না। তখন প্রতিবাদী সত্ত্বা সহ বিভিন্ন অকাজ করার প্রবণতাও মাথা চারা দিয়ে ওঠে। এইভাবে মারপিট করলে নিজের সহ বাকিদেরও প্রাণহানি হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।


উল্লেখ্য, হুঁশ না থাকার মতো মদ্যপান করা কখনওই উচিত নয়।