ওয়েব ডেস্ক: হারিয়ে যাচ্ছে শৈশব। শেষ হয়ে যাচ্ছে কৈশোর। লিলুয়া কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। খুন হওয়া শৈশব আর কৈশরের শিউরে তোলা বহু খবরই আজকাল উঠে আসছে শিরোনামে। কিন্তু কিসের জন্য স্বপ্নের অপমৃত্যু হচ্ছে। কোন পথে হাঁটছে সমাজ? এটাই যেন জীবনের মূল মন্ত্র... তার জন্য দৌড়... জানকবুল করা দৌড়। শহর ছাড়িয়ে সেই দৌড় এখন এখন মফস্বলে। সেই ছুট এখন গ্রামে। ছোঁয়াচে অখুখের মতো সেই দৌড়ের নেশা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে শৈশব-কৈশোরকে। বেপরোয়া হচ্ছে কৈশোর ... ঠিক যেমনটা হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে, কৃষ্ণনগরে। মাত্র দেড়শ টাকার জন্য চোদ্দ বছরের কিশোর দেবশিসকে খুন হতে হয়েছিল তারই বন্ধুদের হাতে। বন্ধুদের দেড়শো টাকা ধার দেয় দেবাশিস। ধারের টাকা ফেরত চাইতেই খুন।  দেবাশিসকে নিয়ে হেলিপ্যাডের মাঠে যায় ওই দুই কিশোর। একসঙ্গে মদ খায়। তারপর সেই মদের বোতল দিয়ে দেবাশিসের মাথায় আঘাত করে তারা। দেবাশিস বেঁহুশ হয়ে পড়ে যেতেই , গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ খুন। এরপরে গর্তে দেহ ফেলে মাটি দিয়ে বুজিয়ে দেয় দুজন।ঝোঁকের মাথায় নয়, পরিকল্পনা করেই পুরোটা করেছিল অভিযুক্ত ২ কিশোর। দেহ লোপাটের জন্য আগে থেকে গর্তও খুঁড়ে রেখেছিল ক্লাস নাইনের ওই দুই ছাত্র...ফের সেই এক কাণ্ড। এবার ক্লাস ফাইভের ছাত্রকে খুনের অভিযোগ তারই সেভেনে পড়া বন্ধুর বিরুদ্ধে । তাও আবার মাত্র আড়াইশো টাকা নিয়ে ঝড়গা। লিলুয়ার নিম্নবিত্ত পরিবার। সেখানেই সবে বড় হতে চলা দুই কিশোরের এমন পরিনতি মানতে পারছে না কেউই...। ছেলে যে এমন করতে পারে ভাবতে পারছেন না অভিযুক্ত ছাত্রের মাও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন বাড়ির বৈঠকখানাতেই বাগান করতে পারেন, দিশা দেখাচ্ছে হিডকো


চাহিদা টাকার, চাহিদা আরও সুখের । চাহিদার ফিফথ গিয়ারে ছুটছে জীবন। মনোবিদরা বলছেন, লাগাম ছাড়া চাহিদাতেই নষ্ট হচ্ছে সামাজিক ভারসাম্য। টাকার জন্য বেপরোয়া হয়েছে ছুটেছেন বড়রা। যা দেখে শিখছে ছোটরাও। নিজের পছন্দের জিনিস বা টাকা পেতে বেপরোয়া হচ্ছে তারা। বল্গাহীন এই চাহিদা অনেক সময় হিংগ্র করে তুলছে ছোটদেরও। চাহিদার চোরা বালিতে তলিয়ে  যাচ্ছে শৈশবের সারল্য ... কৈশোরের উচ্ছ্বাস... প্রাণহীন হয়ে যাচ্ছে এই সমাজের স্বপ্ন।


আরও পড়ুন  গরম স্পেশাল রেসিপি: লস্যি