নিজস্ব প্রতিবেদন: রান্নার স্বাদে ঝাঁঝালো গন্ধ ও মশলাদার স্বাদ আনতে ব্যবহার করা হয় লবঙ্গ। কিন্তু সাম্প্রতিক কালের গবেষণা বলছে, শুধু রান্নার স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতেই নয়,  ঔষধি গুণাগুণে ভরপুর লবঙ্গ। মনে রাখবেন, এই মশলা  বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ও মিনারেলস-এ ভরপুর। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লবঙ্গে রয়েছে- ফেলেট, বি- কমপ্লেক্স, ভিটামিন সি, এ, ডি, ই, কে ও ক্যালশিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জঙ্ক, বিটাক্যারোটিন, ওলুটিন ইত্যাদি। 


গুণাগুণ- যৌগগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরকে রোগমুক্ত রাখে। এছাড়া লবঙ্গের মধ্যে উপস্থিত ইউজিনল জীবাণুনাশক, প্রদাহনাশক, বেদনানাশক ও অ্যান্টিসেপটিক গুণগুণ রয়েছে। 


 


কী কী রোগ থেকে মুক্তি পাবেন- 


হাড়ের রোগ ও আর্থ্রাইটিস থেকে মুক্তি


লবঙ্গ পলিফেনলে ভরপুর।  যা হাড় শক্ত করে। হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়। জয়েন্টের ব্যথা কমায়  আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে লবঙ্গ খেতে বলছেন পরামর্শদাতারা। লবঙ্গ পেস্ট করে ব্যথার জায়গায় লাগাতে পারেন। 


সুগার থেকে মুক্তি


সুগার থেকে মুক্তির জন্য একাধিক উপদান রয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম লবঙ্গ। কারণ, পলিফেনল ইনসুলিনের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। রোজ খান ১-৩ গ্রাম লবঙ্গ পাউডার। 


পেটে অসুখ থেকে মুক্তি


খাবার খাওয়ার আগে লবঙ্গ নিয়ে বানানো চা  খেয়ে নিন। এতে হজম ক্ষমতা বাড়বে। রিচ মশলাদার খাওয়ার পেটে সমস্যা বাঁধাতে পারবে না। পেপটিক আলসাল কমাতে সাহায্য় করে। বমি বমি ভাব এলে চুষে থান লবঙ্গ।


মুখ ও দাঁতের সমস্যা দূর করবে


অ্যান্টিইফ্লামেটরি অ্যান্টিব্যকটিরিয়াল ও অ্যানেসথেটিক গুণাগুণের কারণে মুখ, গলা ও দাঁতের সমস্যা দূর হয়। 


সাইনাসের সমস্যা


সাইনাসের কারণে যাদের মাথা ধরে যায়, ঠাণ্ডা লেগে যায় তাদের জন্য লবঙ্গ খুব উপকারি।  লবঙ্গ তেল মাথায় মালিশ করলে আরাম বোধ হয়। 


ব্রণ কমে যায়


অ্যান্টিইফ্লামেটরি অ্যান্টিব্যকটিরিয়াল ও অ্যানেসথেটিক ও ইউজিনল ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়াকে নষ্ট করে দেয়। 


ক্যান্সার রোধে


বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় প্রমাণিত টিউমার বৃদ্ধিকে রোধ করে ক্যান্সার সেলকে নষ্ট করে লবঙ্গ।