নিজস্ব প্রতিবেদন: আজ পয়লা বৈশাখ৷ বাংলার নববর্ষ। সালটা কত হল জানেন তো? ...১৪২৬। আজ পয়লা বৈশাখের এই দিনে কালীঘাট আর দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে ব্যবসায়ী ও গৃহস্থের ভিড়ে থিক থিক করছে। নববর্ষে ব্যবসায়ীদের হালখাতার পাশাপাশি নতুন পঞ্জিকা, বাংলা ক্যালেন্ডারও জায়গা করে নেয় সমস্ত দোকানে। নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার হাতে পেতে আর মিস্টি মুখ করতে ক্রেতারা ভিড় জমান দোকানে দোকানে। যদিও বাংলা ক্যালেন্ডারের সন-তারিখ এখন অনেকরই তেমন ভাবে খেয়াল থাকে না। তবে পয়লা বৈশাখে পাড়ার দোকান থেকে মিস্টির বাক্স আর নতুন বাংলা ক্যালেন্ডার হাতে পাওয়ার মজাটাই আলাদা!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আজ থেকে শুরু হচ্ছে ১৪২৬। কিন্তু কী ভাবে, কার আমলে শুরু হল এই বিশেষ সাল-তারিখের হিসাব, এই বাংলা ক্যালেন্ডার আর পঞ্জিকা? শোনা যায়, বাংলার রাজা শশাঙ্কের রাজত্বকালে ৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দে, শুরু হয় বাংলার সাল গণনা। যদিও ইতিহাসিকদের মতে, এর অন্তত ৬৫০ বছর আগে যিশুখ্রিষ্টের জন্মেরও প্রায় ৫৭ বছর আগে ভারতবর্ষে ‘বিক্রম সাম্বাত পঞ্জিকা’র প্রচলন করেন সম্রাট বিক্রমাদিত্য। তবে যখন ‘বিক্রম সাম্বাত পঞ্জিকা’র প্রচলন হয়েছিল তখনও বাংলা অক্ষর বা ভাষার সৃষ্টি হয়নি। ‘বিক্রম সাম্বাত পঞ্জিকা’র রচনা হত সংস্কৃত ভাষায়। তবে ‘বিক্রম সাম্বাত পঞ্জিকা’র চেয়ে আরও প্রায় ৫০০ বছরের (প্রায় ৪৮৮ বছর) প্রাচীন হল বৌদ্ধ ক্যালেন্ডার বা বৌদ্ধ পঞ্জিকা।


আরও পড়ুন: দুপুরে হোক বা রাতে, পটলের দো পেঁয়াজা থাক পাতে


তবে এই সমস্ত পঞ্জিকার প্রচলনের ইতিহাস নিয়ে মতভেদ থাকলেও সবকটি পঞ্জিকাতেই বৈশাখ, জ্যেষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র— এই নামেই বারো মাসের বর্ণনা করা হয়েছে। ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, পয়লা বৈশাখ শুধু বাঙালির নববর্ষ নয়, এটি সমগ্র দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নববর্ষ। তবে নতুন জামা, গঙ্গাস্নানে দিন শুরু করে দিনভর পঞ্চবেঞ্জনে ভুড়িভোজ, ঝুড়িতে লক্ষ্মী-গণেশ আর তেল-সিঁদুরে আঁকা স্বস্তিকা চিহ্ণ— নতুন বছরের এই রেওয়াজ একেবারে বাঙালির।


তথ্যসূত্র: প্রথম আলো।