নিজস্ব প্রতিবেদন: দীর্ঘদিনের ভাঙাচোরা বাড়িটিতে ঢুকতেই একটা আবছায়া সরতে দেখল ঈশিতা। ধুধু মাঠেও কে যেন সজোরে ধাক্কা দিল অরিন্দমকে। তীব্র গরমেও ঠাণ্ডা একটা দমকা হাওয়া খানিকটা নাড়িয়ে দিল চলে গেল সুমনকে। এমনই হাজারও গা ছমছমে সব অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁদের ঝুলিতে। অথচ বছর ঘুরলেও তার কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি। আর ব্যাখ্যা খুঁজতেই ভাত ঘুম সব উড়েছে ছয় তরুণ-তরুণীর এই দলের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাস্তবে ভূত আছে কিনা, তা নিয়ে বিতর্ক চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। তবে বিতর্কে না গিয়ে এই বিশ্বাসের পিছনে আদৌ কোনও বাস্তব ভিত্তি আছে কিনা, তা প্রমাণের জন্যই গত কয়েক বছর ধরে ডিওএস (DOS) টিম ছুটে বেড়াচ্ছে গ্রাম-গঞ্জে, শহরে এমনকী পাহাড়েও। বিভিন্ন আধুনিক সরঞ্জামের সাহায্যে ‘ভূতের অস্তিত্ব’ অনুসন্ধানে পাহাড় থেকে সমতলে ঘুরছে টিম ডিওএস। এই অভিযানে বেরিয়ে কখনও স্কুল-কলেজের পুরনো বাড়ি, কখনও আবার বহুতল অফিস, কখনও ফোর্ট এমনকী দার্জিলিং-এর পাহাড়েও বিভিন্ন অভিজ্ঞতার সাক্ষী এই টিম।


ভূত কি আদৌ রয়েছে? নাকি সবটাই মনের ভুল! এই তর্ক বহুদিনের। আর তর্কের সত্যতা যাচাই তাঁদের একমাত্র খিদে। প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটির তর্কে যখন গোটা বিশ্ব তোলপাড় তখনই আধুনিক সব যন্ত্রপাতি নিয়ে ভূতের সত্যতা উদঘাটনে মেতে এই টিম। তবে ভূত খোঁজা ছাড়াও এবার খানিকটা অন্য পথে হাঁটল এই তুর্কির দল। ভূত খোঁজার যে সব অদ্ভুতুরে অভিজ্ঞতা সেই স্বাদ অন্যদের মধ্যেও ছড়িয়ে দেওয়ার কথা ভেবে নিজেদের অভিজ্ঞতা নিয়ে তথ্যচিত্র বানাল টিম। তথ্যচিত্রের নাম 'হু ইজ দেয়ার'। যা ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে ইউটিউবে। 


এখানে শুধু টিমের ক্যামেরাবন্দি অভিজ্ঞতাই নয়, রয়েছে তাঁদের প্রত্যক্ষ করা অদ্ভুদ সব শব্দ, গা ছমছমে ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রমাণ। কী সেই যন্ত্র যা দিয়ে প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটিও ধরা পড়ার দাবি করছেন এই তরুণ-তরুণীর দল? রয়েছে প্যারাবলিক থার্মোমিটার, ইএমএফ ডিটেক্টর এবং ইকোভক্সের মতো সব অত্যাধুনিক যন্ত্র। ৬ বাঙালির এই দলে রয়েছেন ঈশিতা, দেবরাজ, অরিন্দম, শুভ্রজিৎ, সুমন ও উজ্জ্বল। দিনের পর দিন তাঁরা কলকাতা শহরের বিভিন্ন পরিত্যক্ত স্থানে ঘুরেছেন। বীরভূমের জমিদার বাড়ি থেকে শুরু করে অসংখ্য ‘হন্টেড হাউজ’-এ ছুটে বেরিয়েছেন এই ছয় জন। 


‘ঘোস্ট ওয়াক’ বর্তমান কলকাতায় একটি নয়া ট্রেন্ড হলেও প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে আলোড়ন কিন্তু গোটা দেশ জুড়েই, এ নিয়ে চলছে গবেষণাও। আর তাকেই খানিকটা উস্কে দিতে তৎপর এই দল। তথ্যচিত্রের পরিচালক দেবর্ষি রায়। এ বিষয়ে দলের সদস্য দেবরাজের কথায়, "প্যারানর্মাল অ্যাক্টিভিটি নিয়ে কাজ চলছে দীর্ঘদিন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্তে পৌছানো যায়নি। তবে কাজ করতে গিয়ে আমরা যে সব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছি, যেগুলির কোনও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা মেলেনি।"


তথ্য ও ছবি: কমলাক্ষ ভট্টাচার্য