ওয়েব ডেস্ক: এক ক্লিকেই সেলফি। তারপর ফেসবুকের দেওয়ালে পোস্ট। লাইক, কমেন্টস, অ্যাকশন। সেই অ্যাকশনের দৌলতেই সেলফি-জ্বরে ভুগছে বিশ্ব। ক্রমশই বাড়ছে সেলফি অ্যাডিকশনের মাত্রা। বাড়ছে মানসিক অসুখ। বাড়ছে মৃত্যু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেলফি মানে তো হালকা আঙুলের ছোঁয়া। ফ্রন্ট ক্যামেরায় এক ক্লিকেই ছবি। তারপর ফেসবুকের দেওয়ালে আলতো আপলোড। ব্যস। দুনিয়া জেনে গেল আপনার কারেন্ট স্ট্যাটাস। কী করছেন, কোথায় আছেন, কেমন আছেন। গুচ্ছের লাইক, কমেন্টস নিমেষে হাজির। জাতে উঠে গেলেন তো! রাস্তাঘাটে, রেস্তোরাঁয়, শপিং মলে, মায় রেললাইনে, ব্রিজের ওপর, খাদের ধারে শশশশশশ.....


হায়দরাবাদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অন্তর্বাস বিক্রি করছেন একজন ফেরিওয়ালা। হ্যাঁ, ফেরিওয়ালাই। তাঁকে ঘিরে ব্যাপক ভিড়। রাস্তায় চলার উপায় নেই। আসলে, সেই ফেরিওয়ালা যুবকের সঙ্গে সেলফি তুলতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি ক্রেতা-পথচারীদের মধ্যে। এ কি! ফেরিওয়ালা তো নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। হ্যাঁ, এমন অভিনব উপায়েই "ফ্রিকি আলি'-র প্রচার করেছেন নওয়াজ।


সহপাঠীকে নগ্ন সেলফি পাঠিয়েছিল যুক্তরাজ্যের এক স্কুলছাত্র। তাকে গ্রেফতার করেনি পুলিস। তবে ভবিষ্যতে যেখানে চাকরি করতে যাবে ওই কিশোর, সেই প্রতিষ্ঠানকে ঘটনাটি জানাবে পুলিস।


অস্কার অটেলো আগুইলার নামে এক তরুণ বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান করে একটি পিস্তল নিয়ে সেলফি তুলতে গিয়ে ভুলক্রমে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে দেন। ঘটনাস্থলেই অক্কা।


এ তো দু-একটা সেলফি-ক্রেজের নমুনা। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত সেলফি তুলতে গিয়ে প্রায় ৫০টি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সেলফি অ্যাডিকশন যে কোথায় গিয়ে পৌছেছে, তা স্পষ্ট। নরেন্দ্র মোদী বা বারাক ওবামার মতো মানুষরাও যে সেলফি-জ্বরে আক্রান্ত, তার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে বার বার। ভবিষ্যতের ইতিহাসবিদরা আমাদের এই যুগকে হয়ত আত্মপ্রেমের যুগ হিসেবে বর্ণনা করবেন। কিন্তু নিজস্বী নিয়ে এই বাড়াবাড়ি কি আগের দুনিয়াতেও ছিল?


ইতিহাসের পাতায় চোখ বোলালে বলা যেতেই পারে, বিশ্বখ্যাত ওলন্দাজ চিত্রশিল্পী রেমব্রাঁ এই ধারার পথিকৃত্‍। মাত্র তেষট্টি বছরের জীবনে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রায় আশিটির মতো আত্মপ্রতিকৃতি এঁকেছেন তিনি। ১৬০৬-এ জন্ম রেমব্রাঁর। সুতরাং চারশো বছর পেরিয়ে এসে বিশ্বে এখন সেলফি-প্রেমের জোয়ার।