শ্রেষ্ঠা সেন


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুভঅষ্টমীর ভীড়ে ম‍্যাডক্স স্কয়‍্যার পরিপূর্ণ। অল্পবয়সীদের ভিড়ের ঢলে যোগ দিলাম আমরাও। হঠাতই ম‍্যাডক্স স্কয়‍্যারের মাঠটাকে দেখে কেমন যেন শিউরে উঠলাম। একটু ঘোরার পর রজত বলল, "তুমি দাঁড়াও এখানে, আমি ঘুগনি কিনে আনছি!" বলেই চলে গেল।
         
ভীড়ের ধাক্কাধাক্কি এড়াতে ভাবলাম একটু সরে গিয়ে দাঁড়াই। "রিয়া...!!" চলতে চলতে হঠাৎ ডাকটা শুনে থমকে দাঁড়ালাম। ডাকটা। অতিপরিচিত ও অদ্বিতীয়। সমস্ত পৃথিবীটা আমার সাথে সাথে স্তব্ধ হয়ে গেল যেন। পিছনে ফিরতেই সেই চেনা মুখ। সায়ন্তন। মনে হল আমার সারা পৃথিবীটা ওলট পালট হয়ে গেল। আমাদের আট বছরের প্রেমের প্রত‍্যেকটা স্মৃতি নাড়াচাড়া দিয়ে উঠল। কত খুনসুটি, কত ভালবাসা, কত নিজেদের নিজস্ব কথা, কত হাতের ওপর হাত রাখা, একে অপরের চোখে ডুবে যাওয়া।
         


ধীরে ধীরে ও যত এগিয়ে এল ততই ওর মুখটা ম্লান হয়ে গেল। সামনে এসে সিঁথির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল, "কবে বিয়ে করলি?" মনে হল এক লহমায় আমার জীবনের সব আনন্দ কেউ ছিনিয়ে নিল।
         


ততক্ষণে রজত গরম ঘুগনির বাটি দুহাতে নিয়ে ফিরে এসেছে। রজত ওকে দেখে আনন্দে জিজ্ঞেস করল, "বন্ধু বুঝি?" আমি কিছু বলার আগেই ও বলে উঠল, "না না! স্কুলের সহপাঠী মাত্র। ভাল থাকিস্।" বলেই ক্ষণিকের মধ‍্যে সকলের ভিড়ে হারিয়ে গেল।
         


ওর চোখের জল আর আমাকে এখনও ভালবেসে একা থাকার যন্ত্রণার খোঁজ পেলাম কেবল মাত্র আমি। শাঁখা পলার ভারে হাতটা যেন অবশ হয়ে এল। (আরও পড়পন-অফিস টাইম)