ওয়েব ডেস্ক: দৈনন্দিন জীবনে এমন অনেক কাজ থাকে যা আমরা সহজে করে উঠতে পারি না। কিছুটা হয়ত সময়ের অভাবে। কিছুটা শারীরিক কারণে। আর ঠিক তখনই মনে হয়, একটা রোবট থাকলে বোধহয় মন্দ হত না! দিব্যি আমরা প্রোগ্রামিং সেট করে দিতাম, আর সেইমত সে সব কাজ করে রাখত। কিন্তু সেই রোবটই যদি কোনও অপরাধ করে? তখন তার দায় কার? বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তিত ইউরোপীয়ন পার্লামেন্ট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রোবট মানেই তীক্ষ্ণ বুদ্ধি, অসাধারণ ক্ষিপ্রতা, দানবিক শক্তি। তবে সবকিছুই অন্যের দ্বারা পরিচালিত। কারণ তাদের নিজস্ব কোনও বিচার বুদ্ধি থাকে না। যেভাবে চালনা করা হয়, সেভাবেই তারা কাজ করে।


অফিস কিম্বা কারখানা। কয়লা খনি কিম্বা মহাকাশ। ঠিকমত প্রোগ্রামিং করা হলে, যে কোনও কাজ অনায়াসে করতে পারে যন্ত্রমানবরা। এমনকি বাড়িতে পরিচারকের কাজ থেকে গাড়ি চালানো। সবকিছুই এদের বাঁয়ে হাত কা খেল। চিকিত্‍সাক্ষেত্রেও যন্ত্রমানবদের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।


কিন্তু কৃত্রিম বুদ্ধির অপপ্রয়োগ হলে কী হবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। কারণ যন্ত্রমানব যদি যন্ত্রদানবে পরিণত হয়, তখন তাদের থামায়, কার সাধ্যি? উন্মত্ত রোবটদের অপরাধমূলক কাজকর্ম থেকে বিরত রাখতে কী করা উচিত্‍, তা নিয়ে ইউরোপ জুড়ে চলছে আলোচনা।


ইচ্ছাকৃত কিম্বা অনিচ্ছাকৃত....কখনও কোনও রোবট যদি অপরাধ করে, তখন তার দায় কার? প্রস্তুতকারক সংস্থার? নাকি যিনি ব্যবহার করছেন তাঁর? নাকি খোদ রোবটের? এ প্রশ্ন শুধু মানুষের মত কাজ করে এমন রোবটদের জন্যই নয়। ড্রোন, চালক বিহীন গাড়ি, মেডিক্যাল রোবট কিম্বা ইন্ডাসট্রিয়্যাল রোবটদের জন্যও প্রযোজ্য।


টিভি শো-রুমে যে কাণ্ড ঘটল!


বিভিন্ন রোবটে কত ডেটা এবং কী ধরনের ডেটা এন্ট্রি হচ্ছে, তার ওপর নজরদারির দাবি জানিয়েছেন উদ্বিগ্ন ইউরোপীয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। যেভাবে মানুষের রোজকার জীবনে রোবটদের প্রয়োগ বাড়ছে, তাতেও তাঁরা উদ্বিগ্ন।


পর্দার রোবটদের অ্যাকশন নিয়ন্ত্রণ করেন পরিচালক। কিন্তু বাস্তবের রোবটদের থামানোর উপায়? এব্যাপারে ইউরোপীয়ন পার্লামেন্ট প্রস্তাব, যন্ত্রমানব যদি যন্ত্রদানব হয়ে ওঠে, তখন তাকে ধ্বংস করারও উপায় যেন থাকে ব্যবহারকারীর হাতে।


আরও পড়ুন, হাতজোড় করে ক্ষমাভিক্ষা করছে ISIS জঙ্গি, মারা হল নির্মমভাবে