নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনার গ্রাসে বিশ্বের শতাধিক দেশ। ভারতেও ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে যৌন সঙ্গম কতটা নিরাপদ? এই সময় যৌন সঙ্গম কি কোনও ভাবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে? এই আতঙ্কই এখন গ্রাস করেছে বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষকে। ফলে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে কনডম, গর্ভনিরোধক ওষুধ আর সেক্সটয়ের চাহিদা! ভরতেও তার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সম্প্রতি ‘ThatsPersonal.com’ নামের একটি ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মের করা সমীক্ষায় সামনে এসেছে ভারতীয়দের দ্রুত বদলে যাওয়া যৌন জীবন সম্প্রকিত একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ‘ThatsPersonal.com’ নামের এই ওয়েবসাইট থেকে কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো একাধিক পণ্য কেনেন হাজার হাজার মানুষ। তাঁদের সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, বিগত দু’-তিন মাসে করোনা আতঙ্কের আবহে ভারতে কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো পণ্যের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ! প্রায় ২ কোটি ২০ লক্ষ ভিজিটর এবং ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার পণ্যের কেনাকাটার উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে এই সংস্থা।


এই সমীক্ষা অনুযায়ী, এই সমস্ত পণ্যের কেনাকাটা ও চাহিদার নিরিখে তালিকার শীর্ষে রয়েছে মুম্বইয়ের নাম। মুম্বইয়ের পরেই এই তালীকায় জায়গা করে নিয়েছে বেঙ্গালুরু আর নয়া দিল্লি। তার পরেই তালিকার চতুর্থ স্থানে রয়েছে পুনে। রাজ্য হিসাবে বিচার করতে গেলে কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো পণ্যের চাহিদা আর বিক্রির নিরিখে তালিকার শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রের নাম। মহারাষ্ট্রের পরেই এই তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ু।


আরও পড়ুন: করোনা থেকে সেরে ওঠা ভারতীয়দের মধ্যে বাড়ছে হার্ট বা ফুসফুসের সমস্যা! দাবি বিশেষজ্ঞদের


এই সমীক্ষা অনুযায়ী, কন্ডোম, সেক্সটয়ের মতো পণ্যের কেনাকাটার জন্য মহিলারা বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত সময়েই বেশি সক্রিয় থাকেন। রাত ৯টার পর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এই সমস্ত পণ্যের কেনাকাটায় পুরুষদেরই ভিড় বেশি। এই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী যুবক-যুবতীদের মধ্যে সেক্সটয়ের মতো পণ্যের বিষয়ে ঝোঁক বা খুঁজে দেখার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। তবে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী যুবক-যুবতীরাই সবচেয়ে বেশি সেক্সটয় কেনেন। জানা গিয়েছে, বিগত মাস তিনেকে বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটগুলিতে মহিলাদের সেক্সটয়ের অনুসন্ধান প্রায় ৫৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।