পার্থ রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একরাশ বিরক্তি নিয়ে সমীরের জন্য পাত্রী দেখতে গেলো নীহার। একের পর এক মেয়ে দেখে, গাণ্ডেপিণ্ডে নির্লজ্জের মতো প্লেট খালি করে নানা খুঁত খুঁজে পাত্রী বাতিল করে। মেয়েরা যেন মাছ, টিপে টিপে পরীক্ষা করে- কোন মাছটা ভাল। খুব খারাপ লাগে নীহারের। বন্ধু বলে না করতে পারেনি, মনে মনে বলল- এই শেষ।    
সলজ্জা ভঙ্গিতে এসে মেয়েটা বসল।পান পাতার মতো মুখ, রঙ চাপা কিন্তু কি অদ্ভুত সুন্দর চোখ দুটো। এই প্রথম নীহার বন্ধুর পাত্রী দেখতে এসে নিজের বুকের ভেতর ফাগুনের দোলা অনুভব করল। চলে আসার সময় নীহার একটু পিছু ফিরে দেখল। বড় টানছে ওই দুই চোখ।       
-    না, বস চলবে না। কি যে সব সম্মন্ধ আসছে। একটাও পছন্দ হচ্ছে না। এই নে সিগারেট খা।
-    না, এখন না। আমি একটু আসছি। তুই অপেক্ষা কর।
সমীর অবাক হয়ে দেখল, নীহার তীর বেগে পাত্রীর বাড়ির ভিতরে চলে গেল।  
খানিক পরেই হাসতে হাসতে নীহার হাজির।
-    কী ব্যাপার তোর? মেয়ের বাড়ি কী করতে গেছিলি? নিম্ন চাপ এসেছিল খুব জোর?
-    নাহ! শরবিদ্ধ হয়েছিলাম দৃষ্টি বাণে। পাত্রীর বাবাকে আমার ঠিকানা, ফোন নাম্বার দিয়ে আমার ইচ্ছেটাও জানিয়ে এলাম। উনি আমার মায়ের সাথে কথা বলবেন। 
-    মানে? তুই বিয়ে করবি ওই কালো মেয়েকে?
-    উঁহু! মেয়ে নয়, এবার থেকে বৌদি বলা অভ্যাস কর।