ওয়েব ডেস্কঃ লেপ-কম্বল মুড়ে শীতঘুম, নাকি বনবন করে পাখা চালিয়ে জানলার ফুরফুরে হাওয়ার মধ্যে ঘুম। বড় আরামের। বড় সাধের। সমীক্ষা বলে, জীবনের এক-তৃতীয়াংশ সময় নাকি মানুষ ঘুমিয়েই কাটিয়ে দেয়। ডাক্তারি শাস্ত্র বলে, কোনও মানুষের প্রতিদিন রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম দরকার। নইলেই মেজাজ বিগড়ে সপ্তমে। ঘেঁটে লাট সব কাজ। কিন্তু এই ঘুমেরও নাকি আবার আদব-কায়দা আছে। ঘুমের আদব-কায়দা! শুনে নিশ্চয় কৌতূহল জাগছে আপনার?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমীক্ষা বলছে, প্রত্যেকেরই নাকি ঘুমের পছন্দের পজিশন আছে। কেউ চিত্পাত হয়ে ঘুমোয়। তো কেউ একেবারে গুটিসুটি মেরে। কেউ আবার পাশ ফিরে। আবার কেউ উলটো হয়ে ঘুমোয়।


তবে, সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ গুটিসুটি মেরে ঘুমোতেই বেশি পছন্দ করে। শতকরার হিসেবে সংখ্যাটা ৪১ শতাংশ। ঘুম বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা এভাবে ঘুমোয়, তারা স্বভাবে লাজুক-শান্ত ও অনুভূতিপ্রবণ। কিন্তু, বাইরের দিকে তারা একটা রুক্ষ আবরণ পড়ে থাকে।


যারা চিত্পাত হয়ে ঘুমোয়, সমীক্ষা বলছে তারা সবসময়ই খুব রিল্যাক্সড। কিছুটা আলসেও তারা। তবে খুব মিশুকে। সবসময়ই হাসিখুশিতে মেতে থাকে আর অপরকে মাতিয়েও রাখে।   


যারা আবার উলটো হয়ে ঘুমোয়, তারা স্বভাবে বন্ধুবত্সল। অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী। এরা আবেগপ্রবণ, অনুভূতিপ্রবণ।


যদি আপনি নাক ডাকেন, তাহলে কিন্তু বলতেই হচ্ছে যে আপনি খুবই অ্যাগ্রেসিভ। পান থেকে চুন খসলেই বিরক্ত হন। একটু অল্পেতেই রেগে যান।  


অনেকে আবার একইরকম পজিশনে রোজের পর রোজ ঘুমাতে ভালোবাসে। আর ঠিকমতো সেই পজিশনে সেট না হলে কিছুতেই যেন ঘুম আসে না। সমীক্ষা বলছে, আসলে তারা একটা নির্দিষ্ট ছকে জীবনকে পেতে অভ্যস্ত। পরিবর্তন নৈব নৈব চ। চেনা গতের বাইরে কিছু হলেই অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। টেনসড্ হয়ে পড়ে।