নিজস্ব প্রতিবেদন: মেয়েটার বয়স খুব বেশি হলে ১৪ হবে, আনন্দ যেন আজ বাধ মানছে না! মাকে গিয়ে বলল, ‘দেখ তো দিদিমনির মতো লাগছে কি না?’ সে আজ পঞ্চম শ্রেণির পড়া নেবে। নান্টু, বাবলুকে কালই বলেছে, সে কিন্তু একেবারে দিদিমণির মতোই পড়া ধরবে। আজ যে শিক্ষক দিবস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে কলেজ ক্যাম্পাস কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাঁকা মাঠ, কখনওই ফ্যাকাসে হয় না শিক্ষক দিবস। কতজনের কত স্মৃতি, ভাবলেই নস্টালজিয়া। অচলায়তনের খোলা জানালা কিংবা হীরক রাজ্যের উদয়ন পণ্ডিত, শিক্ষা নিয়ে ক্ষমতার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নামই শিক্ষকতা। তাঁরা যে অচলায়তন ভাঙার মন্ত্রদাতা। কুসংস্কারের বেড়াজাল দূরে সরিয়ে শিক্ষার আলোয় মানুষের মতো মানুষ গড়ে তোলাই তাঁদের রোজনামচা। তাঁরা সমাজের কারিগর। তাঁদের কুর্নিশ জানাতেই শিক্ষক দিবস।


ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন, অনুরাগীরা স্যারের কাছে জন্মদিন পালনের আর্জি নিয়ে গেল। ভারতের অন্যতম শিক্ষাবিদ, প্রথম উপ-রাষ্ট্রপতি, দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি তিনি। তাঁর শিক্ষায় শিক্ষিত অসংখ্য ভারতীয়। তবে নিজের জন্মদিন পালনের বদলে ওই দিনটিকে সব শিক্ষকের দিন হিসেবে পালন করতে বলেছিলেন ডঃ রাধাকৃষ্ণন। সেই থেকে শুরু।


প্রজন্মের পর প্রজন্ম পেরিয়ে যায়, ছাত্ররা শিক্ষক হয়। তবু এ দিনের উত্তেজনা এক চুলও কমেনি। কোনও দেশে ৫ অক্টোবর কিংবা ২৮ ফেব্রুয়ারি পালিত হলেও থ্রি ইডিয়টসের সাইলেন্সার কিন্তু দেওয়ালে লিখে রেখেছে "৫ সেপ্টেম্বর।" ভারতে এই দিনটায় গান, কবিতা, আড্ডায় প্রকাশিত হয় ছাত্র শিক্ষকের সম্পর্কের একটা অন্য দিক।


কিন্তু এ বছর পড়ুয়ারা না পাবে প্রিয় সেই হল ঘরটা। পাবে না স্যার, দিদিমনিদের প্রাণ খুলে নিজেদের মতের কথা জানানোর সুযোগ। সবেতেই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে করোনা মহামারি। তবে করোনার আতঙ্কে একটুও দমেনি ছাত্র-ছাত্রীরা। ভার্চুয়াল ক্লাসরুমই সই, শিক্ষক দিবস তো হবেই। প্রস্তুতি কিন্তু তুঙ্গে! হয়তো জোর কদমে মহড়া চলছে "গুরু প্রণাম" নাটকের।