আজকাল পায়ের গাঁটে ব্যথা, পা ফোলা, পেশিতে টান ধরার মতো সমস্যা প্রায়শই নানা লোকের কাছ থেকে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে। কারণ হিসেবে জানা যায়, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি। ইউরিক অ্যাসিড হল রক্তে পাওয়া একপ্রকার রাসায়নিক যা আমাদের দেহে যকৃতে উৎপন্ন হয় এবং পিউরিনযুক্ত খাবার হজমের সময়ও তৈরি হয়। বিভিন্ন ডাল, মাশরুম, পালং শাক, সীম, বরবটি, আম, কলা, সফেদা, খেজুর, কিসমিস, আখ, তাল এমনকি বিয়ারও পিউরিনযুক্ত খাবারের তালিকায় আসে। ইউরিক অ্যাসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়ে কিডনিতে পোঁছায়। কিডনি মূত্র আকারে দেহ থেকে বার করে দেয়। কিন্তু রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনি সম্পূর্ণটা শরীর থেকে বার করে দিতে পারে না। তখনই যাবতীয় সমস্যা দেখা যায় যাকে হাইপারইউরিসেমিয়া বলা হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শরীরে এই অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড হাড়ের বিভিন্ন জয়েন্টে ক্রিস্টালের মতো জমা যায় এবং গাঁট ফুলে গিয়ে ব্যথা হয়। এছাড়াও আরও নানা সমস্যা হয় শরীরে। তবে স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপন ও ডায়েটে কিছু পরিবর্তন রক্তে ইউরিকের অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে। তাহলে জেনে নেব, রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কী কী লক্ষণ দেখা যায় এবং তার উপায়।


 


ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেছে কীকরে বুঝবো ?


ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া


প্রস্রাবের সময় জ্বালা অনুভব হওয়া


পায়ের পাতা  ফুলে যাওয়া


গাঁটে ব্যথা হওয়া


পেশিতে টান ধরা


এই সমস্যাগুলি দেখা গেলে, ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। হতেই পারে আপনার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেছে। এছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনিতে স্টোন, হার্টের সমস্যা দেখা যায়। সাধারণত একজন পূর্ন বয়স্ক মানুষের দেহে,  পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ৭ মিলিগ্রাম এবং নারীদের ৬ মিলিগ্রাম থাকা উচিত।


তাহলে উপায়? আপনার ডায়েটে আনুন কিছু পরিবর্তন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে কিছু খাবার নিয়মিত খাওয়া উচিত -



ভিটামিন সি যুক্ত খাবার -


সাধারণত টকজাতীয় খাবারে ভিটামিন সি বেশি মাত্রায় থাকে। কমলা লেবু, পাতি লেবু, গোল মরিচ ইত্যাদির মধ্যে পাওয়া যায়।



ফাইবার জাতীয় খাবার -


শাক-সবজির মধ্যে ফাইবার ভরপুর। বিভিন্ন শাকপাতা, শসা, আপেল, ওটস, হোল গ্রেন ইত্যাদি খাবার ফাইবারের যোগান দেয়।



 


গ্রিন টি


গ্রিনটি স্বাস্থ্যকর হওয়ার পাশপাশি এই কাজটিও করে। গ্রিন টি-তে ক্যাচিন উপস্থিত যা আসলে প্রোটিন জাতীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।



আপেলের রস -


আপেলের রস বা আপেল থেকে তৈরি ভিনিগার দুই থেকে তিন চামচ জলে গুলি খেলে, ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে কার্যকরী ফলাফল দেখা যায়। 



সবজির রস -


গাজর, বিট, শসার রস ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করেন।



অলিভ অয়েল -


এতেও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। ফলে ইউরিক অ্যাসিডের ক্ষেত্রে ভীষণই কার্যকর।  



লো-ফ্যাট মিল্ক -


কম চর্বি যুক্ত দুধ রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়।