এই ব্রত হল `প্রজননের ব্রত`...
এ এক অদ্ভুত ব্রত! যাদের এই ব্রত করার কথা তাঁরাই অনেকাংশে করেন না, আর যাঁরা করেন, তাঁরা এই ব্রতের থেকে শতহস্ত দূরের।
ওয়েব ডেস্ক: এ এক অদ্ভুত ব্রত! যাদের এই ব্রত করার কথা তাঁরাই অনেকাংশে করেন না, আর যাঁরা করেন, তাঁরা এই ব্রতের থেকে শতহস্ত দূরের।
'অম্বুবাচী' হল সেই ব্রত। শাস্ত্র মতে 'বিধবা ও দ্বিজগণ' এই ব্রতের 'সংযম' পালন করবেন। রান্না করা খাবার খাবেন না। কৃষক ভূমি কর্ষণ করবেন না এবং 'বিশেষ যাত্রাদি' নিষেধ।
আসলে 'অম্বুবাচী' হল এক বিশেষ যাত্রা, প্রজননের জন্য যাত্রা। আসল 'কনসেপ্ট'টা হল, পৃথিবী বা বসুমতি মাতা ঋতুমতী হয়েছেন। তাঁর গর্ভে প্রথিত আছে বীজ কিন্তু তা জলের অভাবে অঙ্কুরিত হতে পারছে না। 'অম্বু' অর্থাৎ জল, 'বাচি' অর্থাৎ প্রার্থনা। 'হে আল্লা মেঘ দে, পানি দে...' এই কাতর প্রার্থনায় মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে বঙ্গে, বৃষ্টির জলে তৃপ্ত হবে পৃথিবী, বসুমতি মাতা শ্যামল হয়ে উঠবেন।
প্রাচীন পুরুষতান্ত্রিক সমাজ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের অধিকার দেয়নি স্বামীহীনাদের। কারণ, সমাজের চোখে তাঁদের 'প্রসবের অধিকার' ছিল না। তাই বিধবারা ঘরের কোণে 'সংযম' পালন করতেন। এসবই সেই পুরুষতান্ত্রিকতার জঘন্যতা।
কিন্তু, কালক্রমে এই 'প্রজননের উৎসব', 'অম্বুবাচী' তার আসল অর্থ হারিয়ে অজ্ঞানতার কারণে হয়ে গেল 'বিধবাদের সংযমের ব্রত'।