ওয়েব ডেস্ক: জিউফি ক্লাউট। ইউরোপের এক মানবাধিকার কর্মী। তিনি এখন পর্ন ইন্ডাস্ট্রির পারফরমারদের হয়ে গলা ফাটাচ্ছেন। দুনিয়ার কাছে তাঁর একটাই আর্জি, দয়া করে পর্ন সিনেমা দেখবেন না। কারণটা আপনার ফোনে ভাইরাস, বা স্বাস্থ্য সচেতনার জন্য নয়, ব্যাপরটা হল মানবিকতার। 'বয়কট পর্ন' নামের ব্যানারে লড়াই করতে নেমে ক্লাউট বলেছেন, 'এই যে দুনিয়ার বহু মানুষ যাদের নীল ছবির দুনিয়ায় মুখে রঙ মেখে পারফম করতে দেখেন। যাদের শরীর, যৌনতা দেখে উত্তেজনা বোধ করেন। তাদের জীবনের আসল সত্যিটা জানলে অন্যরকম ভাববেন।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-পর্নগ্রাফির গোপন পাঁচ কথা
 
বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে গিয়ে যে রিপোর্ট তৈরি করেছেন ক্লাউট, তা শুনলে অবাক হতে হয়। চুক্তিতে সই করা পর্ন পারফরমারদের নাকি দিনে পাঁচ-ছ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত দশ থেকে পনেরো বারের বেশি যৌন কর্মে লিপ্ত হতে হয়। শরীর খারাপ থাকলেও ছুটি মেলে না। বাধ্য হয়েই পারফম করতে হয়। অনেক সময় নাকি যন্ত্রণায় ছটফট করলেও ডাক্তার ডেকে ওষুধ খাইয়েই ফের পারফম করতে হচ্ছে বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ।


আরও পড়ুন-যে ৫টি বিষয় মেয়েরা তাঁদের সঙ্গীর কাছ থেকে গোপন করেন!


সেই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, পর্ন পারফরমারদের হয়তো জোর করে ধরে আনা হয় না, কিন্তু তাদের চুক্তিটা এতটাই কঠিন যে মাঝপথে পালানোর উপায় থাকে না। পর্ন সিনেমায় স্টার হতে পারেন বড়জোড় ৫-১০ শতাংশ, বাকিদের অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে যায়। ক্লাউট তাঁর সঙ্গে অন্তত জনা দশেক পর্ন পারফরমারদের হাজির করেন। যারা তাদের পর্ন শ্যুটিংয়ের সময় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা বলতে থাকেন। তারাই জানান, কাজের চাপ থাকলেও টানা ১৬ ঘণ্টা শ্যুটিং করতে হয়। যেখানে অন্তত জনা পঞ্চাশ জনের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে চলে অসুস্থ যৌনতা। কিন্তু পালানোর উপায় থাকে না। চুক্তি বলে কথা। তাছাড়া ক্রমশ বাড়ছে পর্ন পারফরমরাদের আত্মহত্যার ঘটনা। এইচআইভি-র ভয় তো থাকেই। অথচ কম বয়েসে এরাই টাকার লোভে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আসে।



তাই ক্লাউটের আবেদন আপনি যত পর্ন দেখবেন, তত চাহিদা বাড়বে, তত প্রযোজকরা চাপ দেবেন। ক্লাউট বলছেন, এসব বন্ধ হওয়া দরকার। কিন্তু এটাও জানান পর্ন ব্যবসা এতটাই বড় হয়ে গিয়েছে যে সেটা বন্ধ করা যাবে না, বড়জোড় কমানো যাবে। ক্লাউট এরপর বলেন, বন্ধ একটাতেই সম্ভব যদি আপনি দেখা বন্ধ করেন।