ব্যুরো: তুলোর তোশক-বালিশের পাট চুকিয়ে দিয়েছেন? নরম গদি ছাড়া ঘুম হয় না? প্লাস্টিকের গদি-বালিশেই অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন? তাহলে বিপদ। মাইগ্রেন, সাইনাস তো বটেই, ভুগতে হতে পারে ডায়াবেটিস, থাইরয়েডেও। এমনকি সিন্থেটিক ম্যাট্রেসের ক্ষতিকর কেমিকেল থেকে হতে পারে ক্যানসারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তুলোর তোশক-বালিশের পাট চুকিয়ে এখন বেডরুমে প্লাস্টিকের গদি-বালিশের ছড়াছড়ি। তুলতুলে গদিতে গা ডুবিয়ে, নরম বালিশে মাথা রেখে দিব্যি ঘুম দিচ্ছেন তো! এখানেই বিপদ। সিন্থেটিক বালিশ ও গদিতে ঘুমে ডুবে আছেন। আপনার অগোচরেই বারোটা বাজছে শরীরের। সাঙ্ঘাতিক মাথার যন্ত্রণা, মাইগ্রেন, ঘাড় ও শিরদাঁড়ার ব্যথা, সাইনাস, শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা তো বটেই। সিন্থেটিক ম্যাট্রেসের কেমিকেল থেকে ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে বলে দাবি গবেষকদের।   


সিন্থেটিক বালিশ ও ম্যাট্রেস মানেই কেমিকেলের ছড়াছড়ি। এমন বালিশ, ম্যাট্রেসে থাকে পলিইউরিথেন ফোম। বাতাসে একটু একটু করে কেমিকেল ছড়িয়ে দেয়। তা থেকে সাঙ্ঘাতিক মাথার যন্ত্রণা ও মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। মাইক্রোফাইবার বা পলিয়েস্টার বালিশে বাসা বাঁধে ডাস্ট মাইট। চোখে দেখা যায় না এই পোকা। সাইনাস ও শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যার জন্য মূলত এই পোকাই দায়ী। কিছু কিছু ম্যাট্রেসে ব্যবহৃত হয় মেমরি ফোম। যা আরও বিপজ্জনক। পলিইউরিথেন তো থাকেই, সঙ্গে থাকে বেঞ্জিন ও ন্যাপথালিন। মাথা যন্ত্রণা থেকে শুরু হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যেতে পারে। এমনকি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। ম্যাট্রেসে ব্যবহৃত ফরম্যালডিহাইড থেকে ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে।    


তাহলে বিপদ থেকে বাঁচার উপায় কী? সিন্থেটিক বালিশ-ম্যাট্রেস ছেড়ে ফিরতে হবে তুলো ধুনে তৈরি বালিশ-তোশকে।