নিজস্ব প্রতিবেদন: এসটি+আর্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় ভারতের শিল্প-সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করার জন্য ভারতের বিভিন্ন শহরে 'ডোনেট এ ওয়াল' ক্যাম্পেন চালু করেছে এশিয়ান পেইন্টস। এশিয়ান পেইন্টসের উদ্দেশ্য হল, সেই 'ওয়াল' তথা প্রাচীরের সৌন্দর্যায়ন করা পাশাপাশি ভারতীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাসের বিপুল বৈচিত্র্য প্রদর্শন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এশিয়ান পেইন্টস এবং এসটি+আর্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্দেশ্য জনসাধারণের কাছে শিল্পসংস্কৃতিকে শুধু নিয়ে আসা নয় বরং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে শিল্পসুষমার শক্তি দিয়ে আবদ্ধ করাও। পাশাপাশি নতুন শিল্পভিত্তিক জেলা তৈরি করা। এই সহযোগিতার মাধ্যমে এশিয়ান পেইন্টস আমাদের সম্প্রদায়কে আরও সংহত করবে। শিল্প ও সংস্কৃতির উপর এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গেও এর মাধ্যমে পরিচয় ঘটবে।



ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী কলকাতার জন্য এরকম তিনটি দেওয়াল উন্মোচনের পরিকল্পনা ছিল। প্রথমটি ছিল পাটুলিতে সিইএসসি ভবন। এই ম্যুরালটি কুমোরটুলির কারিগরদের কারুকার্যকে তুলে ধরার জন্য তৈরি হয়েছিল। এটি কলকাতার উৎসব-চেতনাকেও সমৃদ্ধ করবে।


দ্বিতীয় দেওয়ালটিই অবিস্মরণীয় চলচ্চিত্রনির্মাতা সত্যজিৎ রায়কে উৎসর্গ করে পরিকল্পিত। সম্প্রতি এটির উন্মোচন করা হয়েছে। এটি টালিগঞ্জের সেই এলাকাকে শ্রদ্ধা জানায়, যা 'টলিউড' তথা বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাণের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। চেন্নাই-এর শিল্পী, এ-কিল দ্বারা চিত্রিত সত্যজিৎ রায়ের এই ম্যুরালটি কলকাতায় প্রথমবারের মতো সম্পাদিত একটি অনন্য 3D ছবির গল্প। এটি সত্যজিতের গৌরবময় ১00 বছর স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলিও। ম্যুরালের ধারণাটি অন্যতম কারণ এটি ক্যামেরার পিছনে থাকা সত্যজিতের চিরন্তন মেজাজকে আলাদা ভাবে দর্শকের সামনে তুলে ধরে।


দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট এলাকায় নিমাই ঘোষ মেট্রো রেলওয়ে ভবনের একটি অতিরিক্ত প্রাচীর, যা এখন রে-ওয়াল নামে পরিচিত, চিত্রায়িত করেছিলেন। কোলাহলপূর্ণ এবং ব্যস্ত এই মেট্রো স্টেশনটি টলিউড এবং অবশ্যই ভারতের আইকনিক চলচ্চিত্রনির্মাতা সত্যজিৎ রায়কে শ্রদ্ধা জানানোর উপযুক্ত স্থান।


অবস্থান প্রসঙ্গে এসটি+আর্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের বিশেষ প্রকল্পের ডিরেক্টর বিকাশ নাগরে বলেন, 'প্রতি বছর আমরা একটি রাজ্য এবং সেই রাজ্যের শহরের তিনটি প্রাচীর আঁকার জন্য নির্বাচন করি। কিন্তু কলকাতায় আমরা দুটি প্রাচীরকে  বেছে নিয়েছি।



সত্যজিৎ রায় একই সঙ্গে চলচ্চিত্রনির্মাতা, চিত্রনাট্যকার, লেখক, গীতিকার, পত্রিকা সম্পাদক, চিত্রকর, সুরকার এবং আরও অনেক কিছু। সিনেমাজগতে তিনি তাঁর মানবতাবাদী এবং আন্তরিক পদ্ধতির জন্য পরিচিত। তাঁর 'পথের পাঁচালী' মাস্টারপিস হিসাবে রয়ে গেছে, যা সারা বিশ্বের সিনেমাপ্রেমীদের দ্বারা প্রশংসিত। ভারতীয় হিসাবে আমাদের তাই কলকাতা থেকে সত্যজিৎ রায়ের মতো রত্নকে বিশেষ ভাবে সম্মান জানানোর জন্য অনন্য কোনও উপায় খুঁজে বের করতে হয়েছিল।


এশিয়ান পেইন্টস এবং এসটি+আর্ট ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি হল-- এমন এক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হওয়া যা সচেতনতা, সংলাপ, কল্পনাপ্রবণতাকে প্রতিফলিত করে, প্রচার করে এবং শিল্পের মাধ্যমে ভারতীয়দের আন্তঃসংযোগের অনুভূতিকে তীব্র করে তোলে।


কলকাতায় ছবি আঁকার আগে 'ডিএডব্লিউ'  উদ্যোগটি আহমেদাবাদ, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, দিল্লি, চেন্নাই এবং কেরালার মতো শহরগুলিতে অনেক দেওয়ালকেই ইতিমধ্যে সুশোভিত করেছে। এবং যত দিন যাচ্ছে তত এশিয়ান পেইন্টসকে অনেক মানুষ এবং সম্প্রদায়ের সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে, যা ক্রমে এক মাইলফলক স্পর্শ করেছে।