নিজস্ব প্রতিবেদন: আমেরিকার মুন মিশন নিয়ে একটি বড় ঘটনা সামনে এসেছে। কিছু গোয়েন্দা নথি থেকে জানা গেছে যে আমেরিকার পরিকল্পনা ছিল চাঁদে পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটানোর। অ্যাডভান্সড অ্যারোস্পেস থ্রেট আইডেন্টিফিকেশন প্রোগ্রামের (AATIP) অধীনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই মিশনের জন্য অনেক টাকা ব্যয় করেও প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি বলেই জানা গেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছিল, যা বিশ্বাস করা খুব কঠিন। তার মিশনের মধ্যে ছিল ভিজিবিলিটি ক্লোক, অ্যান্টিগ্রাভিটি ডিভাইস, ট্রাভার্সেবল ওয়ার্মহোল এবং পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে চাঁদে টানেল তৈরি করা। যদিও, বর্তমানে AATIP নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছে।


১৬০০ পৃষ্ঠার নথিতে, AATIP-র গবেষণা সম্পর্কে অনেক নতুন খবর জানা গেছে। নথিগুলিতে দেখা গেছে যে AATIP একটি গোপন সংস্থা। এর সম্পর্কে প্রথমবার জানা যায় ২০১৭ সালে যখন এর প্রাক্তন পরিচালক লুইস এলিজোন্ডো পেন্টাগন থেকে পদত্যাগ করেন। তখন দাবি করা হয় যে এই চাঁদ মিশনে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে।


আরও পড়ুন: Optical Illusion: এই ছবিতে কি আপনি ঘোড়া দেখতে পাচ্ছেন? যদি নজরে না আসে তাহলে আপনি বিপদে


এই সংস্থা, যেটি চাঁদে পরমাণু বিস্ফোরণের পরিকল্পনা করেছিল, তাদেরকে অর্থের জোগান দেয় মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ। বহুবার ইউএফও সম্পর্কে আলোচনার কেন্দ্রেও ছিল এই সংস্থা। তথ্য থেকে জানা গেছে যে আমেরিকা চাঁদের মূল অংশে খনন করতে চেয়েছিল। এর কারণ ছিল ইস্পাতের মতো শক্তিশালী, কিন্তু তার চেয়ে ১০০,০০০ গুণ হালকা ধাতুর আবিষ্কার করতে চাওয়া। এই ধাতু মহাকাশযান তৈরিতে ব্যবহার করার ছেটা থেকেই এই মিশনের পরিকল্পনা করা হয়। মিশনের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীরা চাঁদের কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য চন্দ্রের থার্মোনিউক্লিয়ার বিস্ফোরক দিয়ে একটি টানেল তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তবে এই পরিকল্পনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। 



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)