ভ্যাপসা গরমের দাপটে এখন সকলেরই নাজেহাল অবস্থা। দুপুরে ঘরের বাইরে যাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই অনেকেই হয়তো গরম থেকে মুক্তি পেতে বাড়িতে এসি লাগানোর কথা ভাবছেন। কিন্তু কেনার সময় একাধিক লোভনীয় বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। কোন এসি কেনা উচিৎ হবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না! এই বিভ্রান্তি কাটানোর জন্য এই প্রতিবেদনটি হয়তো আপনাকে সাহায্য করবে। আসুন কয়েকটি বিষয় জেনে নিন, যেগুলি এসি কেনার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখা উচিৎ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

• স্প্লিট এসি নাকি উইন্ডো এসি?


এসি কেনার আগে প্রথম যে প্রশ্নটি মাথায় আসে তা হল, স্প্লিট এসি কিনবেন নাকি ইউন্ডো এসি? কিন্তু ইউন্ডো এসি লাগাতে গেলেই আপনার একটি জানলা বন্ধ হয়ে যাবে। আর এসি বন্ধ থাকলে ঘরে আলো-বাতাস ঢোকার সম্ভবনা অনেকটাই কমে যাবে।


আরও পড়ুন: ডিজিটাল বিনোদনকে নতুন মাত্রা দিতে স্ক্রিনজ-এর সঙ্গে হাত মেলাচ্ছে জিও


অন্যদিকে, স্প্লিট এসিতে কম্প্রেশারটি থাকবে ঘরের বাইরে। তাই ঘরের দেওয়ালের যে কোনও অংশে লাগিয়ে দেওয়া যাবে এই এসি। কিন্তু মাথায় রাখবেন, স্প্লিট এসির কম্প্রেশার বসানোর জন্য ঘরের দেওয়াল ভাঙতে হবে। তবে স্প্লিট এসির কমপ্রেশারটি ঘরের বাইরে থাকে বলে মেশিনের আওয়াজ প্রায় শোনা যায় না বললেই চলে। এছাড়াও, দামের দিক থেকে উইন্ডো এসির দাম স্প্লিট এসির থেকে বেশ খানিকটা কম।


• দেখে নিন ইনভার্টার এসি কিনা?


গত কয়েক বছর ধরে ইনভার্টার এসি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বাজারে। যদিও এটি কোনও ভাবেই ইনভার্টার ব্যাটারির মতো নয়। পাওয়ার কাট হলে আপনাকে কোনও ভাবেই সাহায্য করবে না। ভাবছেন, তাহলে হফাত কোথায়? সাধারণ এসিতে কমপ্রেশারটি শুধুমাত্র ফুল ক্যাপাসিটিতেই চলতে পারে। ফলে ঘর প্রয়োজন মতো ঠান্ডা হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় কমপ্রেশার। ঘর আবার গরম হতে শুরু করলে আবার ফুল ক্যাপাসিটিতে চালু হয় কমপ্রেশার। কিন্তু ইনভার্টার এসিতে কমপ্রেশারের ক্যাপাসিটি কম বা বেশি হয় প্রয়োজন মতো। তাই ইনভার্টার এসির কমপ্রেশার সবসময় প্রয়োজন মতো ক্যাপাসিটিতে কমে গিয়ে চলতে থাকে ও ঘরকে ঠান্ডা রাখে। যেহেতু এই এসির কমপ্রেশার কম ক্যাপাসিটিতেও চলতে পারে তাই সাধারণ এসির থেকে এই এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় বেশ খানিকটা কম। কোম্পানিগুলি দাবি করে ইনভার্টার এসি ব্যাহহার করলে সাধারণ এসির থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।


আরও পড়ুন: সহজেই নতুন ভাষা শেখাবে এই অ্যাপগুলি


• দেখে নিন BEE স্টার রেটিং:


এসি কেনার আগে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল BEE স্টার রেটিং। কোনও ইলেকট্রিকাল ডিভাইস চালাতে কতটা বিদ্যুত খরচ হবে তা বিচার হয় এই BEE স্টার রেটিং দিয়ে। ১ স্টার এসি ব্যবহার করে এক বছরে ৮৪৩ ইউনিট বিদ্যুত খরচ হতে পারে। অন্যদিকে, ৫ স্টার এসি ব্যবহার করে বছরে ৫৫৪ ইউনিট বিদ্যুত খরচ হতে পারে। তবে এখানে মাথায় রাখা প্রয়োজন স্টার রেটিং ক্রমশ বদলাতে থাকে। যেমন, ২০১৬-এ যে এসিটি ৫ স্টার ছিল ২০১৮-এ সেটি হয়ে দাঁড়াবে ৩ স্টার এসি।


আরও পড়ুন: আপনার পোষ্যর গায়ে কি এমন পোকা রয়েছে? সাবধান...


• দেখে নিন এসির ক্যাপাসিটি:


এসি কেনার ক্ষেত্রে শেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্যই এসির ক্যাপাসিটি। বাজারে ১ টন থেকে ২ টন পর্যন্ত এসি কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু এটি কোনও ভাবেই এসির ওজনকে বোঝায় না। এই ওজন কোনও এসি এক ঘণ্টায় কতটা তাপ ঘর থেকে বাইরে বের করে দিতে পারে, তাকেই নির্দেশ করে। ১৫০ স্কোয়ার ফুট ঘরের জন্য ১ টন এসি যথেষ্ট। ২০০-২৫০ স্কোয়ারফুট ঘরের জন্য প্রয়োজন অন্তত ১.৫ টন এসি। যদিও আপনার ঘরের তাপমাত্রা ও কোন ফ্লোরে আপনার ঘর রয়েছে তার উপরের নির্ভর করে এসির ক্যাপাসিটি।