অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধিতে মালার ভূমিকা
মালা বিভিন্ন প্রকারের হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন মালা ধারণ করলে কী ফলাফল পাওয়া যায়।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, ভাগ্য বদলাতে ‘মালা’র তেমন কোনও প্রভাব না থাকলেও অভ্যন্তরীণ শক্তি বৃদ্ধিতে এটি খুবই কার্যকরী। মালা বিভিন্ন প্রকারের হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন মালা ধারণ করলে কী ফলাফল পাওয়া যায়।
১) তুলসী মালা: প্রধানত বৈষ্ণবদের এই তুলসীর মালা ধারণ করতে দেখা যায়। তুলসীর মালা ধারণে ভক্তি শ্রদ্ধা বৃদ্ধি হয়। জ্ঞান আহরণ, সাধনা ইত্যাদিতে তুলসীর মালা সহযোগিতা করে। শ্লেষ্মার রোগে তুলসীমালা ধারণ করলে উপকার পাওয়া যায়।
২) রুদ্রাক্ষ মালা: মালার মধ্যে শ্রেষ্ট হল রুদ্রাক্ষের মালা। এই মালা ধারণে মানসিক দৃঢ়তা বাড়ে এবং আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে। রক্তচাপ বা হৃদপিণ্ডের সমস্যার প্রতিকারে সহায়তা করে। বিভিন্ন প্রকার শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে রুদ্রাক্ষের মালা।
৩) স্ফটিক মালা: মানসিক শান্তি ফেরাতে স্ফটিকের মালা খুবই কার্যকরী। এই মালা বিদ্যা এবং দাম্পত্য সুখ বৃদ্ধি করে, জ্ঞানপ্রাপ্তিতে সাহায্য করে। একাগ্রতা বৃদ্ধিতেও স্ফটিকের মালা খুবই কার্যকরী।
৪) পদ্মবীজের মালা: এই মালা ধন লাভ বা ধন বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। ঋণ মুক্ত হতে সাহায্য করে এই মালা। পদ্মবীজের মালা শরীর ঠান্ডা রাখে, মনকে শান্ত রাখে।
৫) হরিদ্রা মালা: জ্ঞান বিদ্যা বা বৈবাহিক সুখ লাভের আকাঙ্খা পূর্ণ করতে হরিদ্রা মালা খুবই কার্যকরী। শত্রুর ছলনা, প্রতারনা বা ক্ষতির হাত থেকে এই মালা রক্ষা করে। লিভারের সমস্যায় ভুগলে এই মালা ধারণে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।
৬) লাল চন্দনের মালা: তেজ এবং শক্তি বৃদ্ধিতে লাল চন্দনের মালা খুবই কার্যকরী। এই মালা ব্যক্তিত্বের পরিপূর্ণ প্রকাশে সাহায্য করে। লাল চন্দনের মালা মাথা যন্ত্রণা এবং ফাঁড়া দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করে।
৭) শ্বেত চন্দনের মালা: বাকসংযম, মানসিক শান্তি বৃদ্ধি, খিটখিটে ভাব থেকে রক্ষা করে এই মালা। শরীরে আনে শীতল ভাব। এই মালা ধারণ করলে বায়ু রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।