Valmiki Jayanti: `মা নিষাদ`! নিজে উচ্চারণ করে নিজেই চমকে উঠলেন...
Valmiki Jayanti: `রাম` উচ্চারণ করতে পারলেন না, প্রথম প্রথম `মরা` উচ্চারণ করতেন, পরে সেটা ঠিক হয়ে যায়। ক্রমে গভীর সাধনায় ডুবে যান দস্যু রত্নাকর। উই ঢেকে ফেলে তাঁর শরীর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রতি বছর আশ্বিনের পূর্ণিমায় বাল্মীকি জয়ন্তী পালিত হয়। সেই হিসেবে আজ ৯ অক্টোবর রবিবার বাল্মীকি জয়ন্তী। অর্থাৎ, আজ বাল্মীকির জন্মতিথি। সকলেই জানি, তিনি রামায়ণ রচয়িতা। তিনি এক মহান ঋষি। কিন্তু শুধু ঋষি বা রামায়ণ রচয়িতা বললেই তাঁর পরিচয়দান শেষ হয়ে যায় না। তিনি আদি কবি। তাঁর মুখ দিয়েই বেরিয়েছিল প্রথম শ্লোক। দস্যু রত্নাকর থেকে তিনি ঋষি বাল্মীকিতে রূপান্তরিত হয়েছিলেন বলে মনে করা হয়। নারদ মুনির সাহচর্যে পরামর্শে ও আশীর্বাদে তাঁর এই রূপান্তর ঘটে।
পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা
বাল্মীকির কবি হয়ে ওঠার কাহিনিটি চমকপ্রদ। একদিন তিনি বনের মধ্যে পায়চারি করছেন। কাছেই একটা গাছের ডালে একটি ক্রৌঞ্চ আর তার বৌ ক্রৌঞ্চী বসে আছে, গল্প করছে। ক্রৌঞ্চ হলো কোঁচবক। হঠাৎ কোত্থেকে একটা তীর এসে ক্রৌঞ্চের বুকে বিঁধে গেল, সে মাটিতে পড়ে গিয়ে ছটফট করতে করতে মরে গেল। তখন তার ক্রৌঞ্চী বৌয়ের সে কী কান্না! দুঃখ কষ্টে বুক ভেঙে যেতে লাগল বাল্মীকির। হঠাৎ অজান্তেই তাঁর মুখ থেকে ছন্দোবদ্ধ একটি পদ বেরিয়ে এল-- 'মা নিষাদ' ইত্যাদি; যার অর্থ- 'ওরে ব্যাধ, তুই এমন সর্বানাশা খারাপ কাজ করলি? জীবনে তোর কোনো উন্নতি হবে না।' এটা উচ্চারণ করেই বাল্মীকি নিজেই চমকে উঠলেন। বিস্ময়ে মুগ্ধ হলেন! কেমন করে হল এটা! আসলে কাব্যের দেবী, বিদ্যার দেবী, সরস্বতীর আশীর্বাদে এমন অসম্ভব সম্ভব হতে পেরেছিল সেদিন। পরে রামায়ণ রচনা করেন তিনি। রামায়ণ বহু শ্লোকাত্মক। পণ্ডিতেরা বলে থাকেন, রামায়ণে ২৪ হাজার শ্লোক রয়েছে, রয়েছে মোট সাত কাণ্ড।
আরও পড়ুন: Kojagori Laxmi Puja 2022: কেন এই তিথিতেই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর আয়োজন করা হয়?
বাল্মীকি জয়ন্তী একটি কারণেই এত জনপ্রিয়, এত মর্যাদার সঙ্গে পালিত হয়। এদিন নিজের অন্যায়কে পাপকে বর্জন করে, পরিত্যাগ করে নতুন জীবনের দিকে যাওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞা করার লগ্ন। বাল্মীকি এক জীবনেই বহু জীবন যাপন করেছেন। তাঁর জীবন আজও শিক্ষণীয়।