নিজস্ব প্রতিবেদন: পুজোর ঘর বা পুজোর সিংহাসনে ঠাকুরদেবতা রাখার কিছু নিয়মকানুন আছে। অনেক সময়েই বিষয়টি না জানার কারণে বা ততটা সচেতন না থাকার জন্য এ বিষয়ে অনেকেই অনেক ছোটখাট ভুল করে ফেলেন। আর তাতে পুজোয় মঙ্গলের বদলে অমঙ্গলই বেশি হয়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

যেমন, অনেকেই বাবা-মা গত হলে তাঁদের পদচিহ্ন বা তাঁদের ছবি ঠাকুরের জায়গায় বা আশপাশেই রেখে দেন। শুধু বাবা-মা কেন, পুরুষাণুক্রমে দাদু-দিদা বা ঠাকুর্দা-ঠাকুরমা বা অন্য কারও কারও ছবিও মানুষ সাধারণত ঠাকুরের জায়গাতেই রেখে দেন। এই বিশ্বাসে যে, এঁরা তো এখন দেবতায় লীন, নিজেরাই স্বয়ং দেবতা। তাঁদের বিশ্বাসে আঘাত না দিয়েই বাস্তু বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, পুজোর জায়গায় কখনও পূর্বপুরুষের ছবি রাখবেন না। এটা ঠিক নয়। সংসারের সামগ্রিক মঙ্গলের সাপেক্ষে এই অভ্যাস অশুভ মনে করা হয়।


আজকাল তো দশ ফুট বাই দশ ফুট-এর যুগ। মানুষেরই থাকার জায়গা মেলে না, এর উপর আবার ঠাকুর! অনেকেই তাই তাঁদের বাড়িতে ঠাকুরের জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করতে পারেন না। তবে কেউ কেউ এরই মধ্যে এক টুকরো জায়গা খুঁজে নেন। হয়তো প্যাসেজের এক পাশে, কিংবা ডাইনিংয়ের এক ধারে, অথবা সিঁড়ির নীচে দেবতার অধিষ্ঠান সম্পন্ন করেন। কিন্তু বাস্তু বিশেষজ্ঞেরা বলেন, এই ভাবে নিজের বাড়ির বা ফ্ল্যাটের বা ঘরের যে কোনও জয়াগায় ঠাকুর বসিয়ে দিয়েই হল না। একটু বিবেচনা করে জায়গা বাছাই করতে হয়। বিবেচনা করতে হয়, সেখানে কী রাখবেন, কী রাখবেন না, সেটাও।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: ক্রিসমাসে তুলসী গাছ পুজো করেছেন? জানেন আজ কী দিন?