`Visions of Education in India`: দেশে শিক্ষাক্ষেত্রে ক্রমবর্ধমান বৈষম্যের নথি

নিজস্ব প্রতিবেদন : বৈষম্য! এমন এক বিষয়, যা ভারতীয় উপমহাদেশের যে কোনও ক্ষেত্রকেই ছুঁয়ে গিয়েছে। শিক্ষাও তার ব্যতিক্রম নয়। ভারতীয় শিক্ষাক্ষেত্রে বৈষম্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাস্তবে দেখা গিয়েছে প্রায় এক যুগ পরেও আমাদের দেশে একটি নতুন শিক্ষানীতি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যা শক্তিশালী নীতিকাঠামোর দাবি করছে। আর সেখানেই 'ভিশনস অফ এডুকেশন ইন ইন্ডিয়া'-বইটির প্রাসঙ্গিকতা। যা তুলে ধরেছেন কাউন্সিল ফর সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট (CSD)-র সভাপতি অধ্যাপক মুচকুন্দ দুবে এবং বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ সুস্মিতা মিত্র সহকারী অধ্যাপক(সিএসডি)।

'Visions of Education in India' বইটির উদ্বোধন শেষে খ্যাতনামা শিক্ষাবিদ শ্যাম মেনন, অধ্যাপক অবিনাশ কুমার সিং, শিরিন ভাকিল মিলার, টাটা ট্রাস্টের নীতি ও অ্যাডভোকেসি বিভাগের প্রধান ডঃ হেম বার্কার, অধ্যাপক আর গোবিন্দ এবং বইটির দুই সম্পাদক একটি আলোচনা সভায় অংশ নেন। 'Visions of Education in India' বইটিতে মূলত আলোচনা করা হয়েছে শিক্ষাব্যবস্থায় দেশ গঠন, গণতন্ত্রকরণ প্রক্রিয়া, সামর্থ্য, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক দিকগুলি। সবমিলিয়ে বিশ্বায়ন এবং উদারনীতি তুলে ধরা হয়েছে। বইটির পাঁচটি অধ্যায়। 'ভিশনস অফ এডুকেশন ইন ইন্ডিয়া'- বইটিতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ১৫ জন বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ, সমাজকর্মী- মেধা পাটকর, প্রভাত পাট্টনায়েকর মতো ব্যক্তিত্ব অবদান রেখেছেন।

প্রাচীন কাল থেকে শিক্ষার দর্শন বইটিতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। বৌদ্ধ আমলে শিক্ষার দর্শন সর্বোচ্চ সীমায় পৌঁছেছিল। কিন্তু ঔপনিবেশিক আমলে তার পট পরবিবর্তন হয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে আমাদের শিক্ষানীতি বিবর্তন ঘটেছে। বিশ্বায়ন ও নতুন উদার অর্থনৈতিক নীতির প্রভাব পড়েছে। ভারতের মতো জটিল সমাজে শিক্ষার একমুখী দৃষ্টিভঙ্গি নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব কারণ, তা আমাদের সমস্ত চাহিদা ও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না। ভিন্নমতের দর্শনগুলির মধ্যে সমন্বয় ঘটানো এবং নীতিকাঠামোর বিস্তারিত আলোচনা এই বইটিতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। শিক্ষার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ভারতীয় দার্শনিক ও শিক্ষাবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করা হয়েছে। শিক্ষামূলক নীতি বাস্তবায়ন এবং অগ্রগতির বিস্তারিত বিশ্লেষন করা হয়েছে 'Visions of Education in India' বইটিতে।