এমন ক্যাফের কথা হয়তো জীবনে শোনেননি
উইক ডে-তেও চলে। উইকেন্ড হলে তো কথাই নেই। আউটিং কার না ভাল লাগে? তা শুধু মানুষ কেন এ সুযোগ পাবে? পশুপাখিরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে! তাই তাদের জন্যও স্পেশাল খাতিরদারি হংকংয়ে।
ওয়েব ডেস্ক: উইক ডে-তেও চলে। উইকেন্ড হলে তো কথাই নেই। আউটিং কার না ভাল লাগে? তা শুধু মানুষ কেন এ সুযোগ পাবে? পশুপাখিরা কি বানের জলে ভেসে এসেছে! তাই তাদের জন্যও স্পেশাল খাতিরদারি হংকংয়ে।
আরও পড়ুন- গোটা রাজধানীটাই উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি!
সে ছিল এক ইঁদুরের গপ্প। নাম রেমি। প্যারিসের বুকে তার স্বপ্ন ছিল, শেফ হওয়ার। কখনও ধাক্কা, কখনও আশায় ভর করে, সে ইচ্ছে পূরণও হয়। তবে সবটাই সেলুলয়েডের পর্দায়। কল্প-গাথা। ....
তবে গল্পে তো গরুও গাছে চড়ে। বাস্তবের মাটিতে এনাদের নিশ্চই তেমন কোনও কেরিয়ার-প্ল্যান নেই। তবে এই খরগোশকূলের জন্য রয়েছে স্পেশাল ব্যবস্থা।
হংকংয়ের প্রথম RABBIT ক্যাফে এটি। কসওয়ে বে-র মতো ব্যস্ত জনপদে খোলা হয়েছে এই বিশেষ রেঁস্তোরাটি। যারাই আসছেন, পাচ্ছেন এদের সঙ্গ। খুদেরা হলে তো কথাই নেই।
খাবে কি, সর্বক্ষণ তারা মশগুল এদেরই সঙ্গে। জাপানের বিখ্যাত RABBIT আইল্যান্ডে এমন রেস্তোরা নতুন নয়। সেখান থেকেই এর অনুপ্রেরণা পান রিকি ল্যাম এবং তাঁর বন্ধুরা। ব্যস, তারপর আর কি! যেমন ভাবা, তেমন কাজ। হংকংয়ের বুকে স্বপ্ন সত্যি।
খরগোশদের সঙ্গ পেতে অবশ্য মানতে হয় বেশ কিছু কড়া নিয়মকানুন। কোনওভাবে যেন এই পশুদের আঘাত না লাগে, কেউ যেন কান টেনে তোলার চেষ্টা না করে, সেদিকে সদাসর্বদা নজর রাখা হয়। খেতে খেতেই এদের সঙ্গ পাওয়া, বেশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে মানুষজনের কাছেও। বিশেষজ্ঞরাও অনেকই বলছেন, এই ব্যবস্থা মনে আনন্দ আনতে, রিল্যাক্স হতে বেশ সাহায্য করে।
কেউ কেউ অবশ্য শুনিয়েছেন সতর্কবাণীও। এতে এই প্রাণীদের মনের ওপর বেশ চাপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। তাদের ডায়েটের দিকে সঠিক নজর না দেওয়া হলে অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনাও থেকে যাচ্ছে। তবে এই সমস্ত নিয়ে অবশ্য মোটেই চিন্তিত নয় ক্যাফে কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, প্রাণীগুলিই তাঁদের প্রায়োরিটি। তাই তাদের দেখভালে কোনও খামতি নেই।
দিনেরাতে এখন ভিড়ে ঠাসা এই RABBIT ক্যাফে। এমনই অবস্থা যে আগেভাগে রিজার্ভেশন না করা হলে, পা রাখার উপায় নেই। তাতে অবশ্য ক্ষোভ নেই মানুষজনের। এদের সঙ্গ পেতে, এদের সঙ্গে একসাথে কিছু সময় কাটাতে, খাওয়াদাওয়ার সঙ্গেই মস্তি করতে, এটুকু তো করাই যায়। কি বলেন!