নিজস্ব প্রতিবেদন: পর্ন কী? আদিম থেকে আধুনিক, বিশেষজ্ঞদের মতানৈক্যের মধ্যে সর্বজনবিদিত সংজ্ঞা হল, যৌনতা এবং জৈবিক ক্রিয়ার বর্ণনায়নই পর্ন। অনেকে বলেন মানবজাতির আদিম রিপু 'কাম বিলাসিতা'-র চলমান ছবিই হল পর্নগ্রাফি। যদিও ইতিহাস বলছে, নীল ছবির শুরুয়াতটা কিন্তু হয়েছিল 'ইরোটিক নভেল'-র হাত ধরেই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৭৪৮ সালে প্রকাশিত 'মেমরিস অব অ্যা ওম্যান অব প্লেজার' নামের রোম্যান্টিক উপন্যাসই না কি পর্ন দুনিয়ার আঁতুড় ঘর। ঢাকা ট্রিবিউইন প্রকাশিত ফিচারে এমনই দাবি করা হয়েছে। ব্রিটেনে প্রকাশিত হয়েছিল এই বই। যদিও পর্নগ্রাফি একটি স্বতন্ত্র ইন্ডাস্ট্রি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিশ শতকে। এরপর যেভাবে নীল ছবির প্রতি আম আদমির ঝোঁক বেড়েছে, তাতেই আকাশছোঁয়া সাফল্য পায় পর্ন ইন্ডাস্ট্রি। বিশেষ করে ইউরোপ এবং মার্কিন মুলুকেই এক দশকের মধ্যে পর্ন ইন্ডাস্ট্রি ব্যবসা করেছিল প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার।


আরও পড়ুন- বায়োডাটায় আপনার দেওয়া সব তথ্য সত্যি তো? নাহলেই কিন্তু বিপদ...


ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের মত, মানুষের জৈবিক উচ্ছ্বাস এবং যৌন চাহিদার সাময়িক পরিত্রাতাই হল পর্ন। এত না হয় গেল মনস্তত্ত্বের কথা। তবে পর্ন নিয়ে আসলে কী ভাবেন নীলছবির কুশীলবরা, জানা আছে? পর্ন তারকার চোখে পর্ন আসলে কী? 


মার্কিন লেখিকা, গায়িকা তথা প্রাক্তন পর্ন তারকা শেলি লুবেন মনে করেন, 'পর্ন হল বিশ্বের সব থেকে বড় বিভ্রম'। পর্ন দুনিয়ার অন্ধকার অলিগলির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, কেবল মাত্র অর্থের জন্যই পর্ন দুনিয়ায় কাজ করতে হয়েছে। একজন অপরিচিতের সঙ্গে কখনই যৌনতা উপভোগ করেননি বলেও মতপ্রকাশ করেছেন শেলি। 


"দর্শকদের মধ্যে পরিকল্পিত ভাবে 'বিভ্রম' তৈরি করা হয়। যেখানে দেখানো হয়, গোটা 'সেক্স অ্যাক্ট' উপভোগ করছেন একজন মহিলা, আদতে তা হয় না", পর্নগ্রাফি নিয়ে এমনই বিস্ফোরক দাবি করেছেন এই প্রাক্তন মার্কিন পর্ন তারকা। একজন মহিলা 'পর্ন-অভিনেতা'কে  পরিচালকের কথা অনুযায়ীই চলতে হয়। লাস্যময়ী হাসি, উত্তেজক পোশাক, শীৎকার এইসবই প্রযোজকের ইচ্ছামতো হয় বলেও জানিয়েছেন লুবেন। 


আরও পড়ুন- যৌন হেনস্থার থেকেও ক্ষতিকারক মানসিক প্রতারণা!


মার্কিন পর্ন তারকা শেলি লুবেনের বিস্ফোরক দাবি, "পর্ন আসলে 'ফেক সেক্স'। ভিডিওতে যৌন মুহূর্তে ফ্রেমবন্দি করা ছাড়া আর কিছুই নেই এখানে, এটাই সত্য।" 


বর্তমানে শেলি লুবেন পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশনের একজন আক্টিভিস্ট। পর্ন দুনিয়া থেকে যারা হাসিমুখে বেরিয়ে আসতে চান তাদের সাহায্য করে এই সংস্থা। একইসঙ্গে পর্ন আসক্তদের পর্ন মুক্তির পথও বাতলে দেয় পিঙ্ক ক্রস ফাউন্ডেশন।