জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছট পুজোর আরাধ্য দেবতা সূর্য। অন্যান্য পুজোর ক্ষেত্রে দেবতাকে প্রত্যক্ষ করা যায় না। তাঁকে কল্পনা করতে হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে কল্পনার কোনও অবকাশ নেই, প্রয়োজনও নেই। কেননা, সূর্যকে তো চোখের সামনে দেখা যাচ্ছে! তিনি স্বয়ংপ্রকাশ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চারদিন-ব্যাপী ছট পুজোর উদযাপন আজ ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু। চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। তবে ছট পুজোর মূল দিন ৩০ অক্টোবর, রবিবার। মূলত বিহারে উদযাপিত ধর্মানুষ্ঠান হলেও ছট পালিত হয় বিহার ও ঝাড়খণ্ড-সহ উত্তর প্রদেশ, ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গেও। ভারতের প্রধান প্রধান শহর কলকাতা দিল্লি মুম্বইয়ে বহু মানুষ ছট পালন করেন। বিদেশেরও বহু শহরে দিনটি যথাযথ উদযাপিত হয়।


আরও পড়ুন: Pumpkin Day: আমাদের গ্রামবাংলার সাদামাটা নিরীহ কুমড়ো নিয়ে জো বাইডেনের দেশও মেতে ওঠে, জানেন ?


কিন্তু খুবই তাৎপর্যপূর্ণ যে, এহেন বড় আকারের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ব্রত উদযাপনের ক্ষেত্রে দেবতার কাছে পূজা নিবেদনের জন্য ব্রতধারীদের কোনও ব্রাহ্মণের মধ্যস্থতার প্রয়োজন পড়ে না। ছট ব্রতধারীরা নিজেরাই মন্ত্রোচ্চারণ করেন এবং সূর্যদেবতার কাছে অর্ঘ্য প্রদান করেন। আসলে এই ব্রতটি পুরোপুরি লৌকিক। গ্রাম্য কৃষিজীবী মানুষের ধর্মীয় আচার এটি। আক্ষরিক অর্থেই প্রকৃতির পুজো এই ছট। প্রকৃতি মা, তার জল বাতাস ইত্যাদিকে বন্দনা করা হয়। আসলে সারা বছর শস্যোৎপাদনের জন্য সূর্যের কাছ থেকে যে-সহায়তা পায় মানুষ তার জন্যই সূর্যকে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন। আর তা করতে গিয়ে ছট-রূপী সূর্য এবং ছটি মাইয়া বা ঊষার আরাধনার এই বর্ণিল আয়োজন। এই পুজোর একটি বড় অংশ প্রার্থনা। উদিত সূর্য ও অস্তমিত সূর্যের কাছে প্রার্থনা করতে হয় এই ব্রতে। 


ছট আসলে যত না ধর্মীয় তার চেয়েও অনেক বেশি সাংস্কৃতিক অনুষঙ্গ-সঞ্জাত। আর ছটপুজোর পিছনে এই আদর্শ কাজ করে বলেই এই পুজোয় ব্রাহ্মণের উপস্থিতি আবশ্যিক নয়। তবে কেউ যদি মনে করেন, তিনি ব্রাহ্মণের উপস্থিতিতে বা  ব্রাহ্মণের মাধ্যমেই ব্রত উদযাপন করবেন, তা করতেও পারেন। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)