নির্ণয় ভট্টাচার্য্য: একাধিক লোক একসঙ্গে মদ্যপান করতে বসলে, পান শুরুর আগে তারা পরস্পরের 'সুরাপাত্র' (মদের গ্লাস) একসঙ্গে ঠেকিয়ে 'চিয়ার্স...' বলে তবে পান শুরু করে থাকে। কিন্তু কেন এমন করা হয়? আপনার হয়ত ধারনা এটা একটা ভদ্রতা বা সামাজিকতা। কিন্তু, আসল কারণটা একেবারেই উল্টো। গ্লাসে গ্লাস ঠেকানোর এই রীতি আসলে 'প্রাণে বাঁচার' উদ্দেশ্যে। কী অবাক হলেন তো? তাহলে আসল ইতিহাসটা জানুন...


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বহুকাল আগে প্রায় সব দেশেই যখন রাজতন্ত্র কায়েম ছিল, তখন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজা রাজরারা একে অপরকে আমন্ত্রণ জানাতেন। বহু ক্ষেত্রেই এই আমন্ত্রণগুলো ছিল আসলে 'ফাঁদ'। মানে, কোন রাজ্যের রাজার অপর রাজ্যের রাজার প্রতি রাগ থাকলে (স্বার্থে আঘাত লেগে থাকলে), সেই রাজা রাগ চেপে রেখে যে রাজার উপর রাগ রয়েছে তাঁকে নিমন্ত্রন করতেন। আর অতিথি আপ্যায়নে সুরা অর্থাত্ মদ তো ছিল আবশ্যিক। সেখানেই চক্রান্ত।


আরও পড়ুন- ফাঁসির সাজা ঘোষণার পর বিচারকদের পেনের নিব ভেঙে ফেলার কারণ


আমন্ত্রিত রাজার সুরাপাত্রে অনেক সময়ই বিষ মিশিয়ে দেওয়া হত। এই ভাবেই বিষাক্ত মদ পান করে বহু মৃত্যু হয়েছে। আর এই আশঙ্কার হাত থেকে বাঁচতেই মদ পান করার আগে যতজন মদ পান করছে তাদের সকলের সুরাপাত্র একসঙ্গে ঠেকিয়ে নেওয়ার চল শুরু হল। ভাবছেন ঠেকিয়ে নিয়ে আর কী হবে?


মদে বিষ থাকলে তো তা আর ভ্যানিশ হয়ে যাবে না। ঠিকই। কিন্তু আজকের মত 'সফিস্টিকেটেড' ভাবে আলতো করে তখন গ্লাস বা সুরাপাত্র ঠেকানো হত না। বেশ জোরের সঙ্গে একে অপরের সুরাপাত্রে ধাক্কা মারতেন, যাতে প্রত্যেকের পাত্রের তরলই অন্যদের পাত্রের তরলের সঙ্গে খানিকটা মিশে যায় (চলকে পড়ে)। ফলে কেউ বিষ মিশিয়ে থাকলে সে নিজে কিছুতেই ওই বিষাক্ত মদ তখন পান করতে চাইবেন না। এর থেকেই বাকিরা বুঝতে পারবেন 'দুধ কা দুধ পানি কা পানি' থুরি 'মদ কা মদ বিষ কা বিষ'।


আরও পড়ুন- পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভালোবাসার গল্পটা দেখুন মাত্র ১২ মিনিটে!