ওয়েব ডেস্ক: পুলিসের ভুঁড়ি কেন? প্রশ্ন তুলে হাইকোর্টের দায়ের জনস্বার্থ মামলা। মামলাকারীর যুক্তি, আম জনতার নিরাপত্তার দায়িত্ব যাঁদের কাঁধে, তাঁরাই আনফিট হলে নিরাপত্তা দেবে কে? প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে পুলিসের ফিটনেস নিয়ে রাজ্যের নীতি আদালতকে জানাবেন স্বরাষ্ট্রসচিব।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইন্সপেক্টর প্রণব হালদারকে মনে পড়ে? কাহানি টুর-সেই মোটাসোটা, নেয়াপাতি ভুঁড়ির পুলিস অফিসার? দুর্গারানি সিংকে ধরার পুরো দায়িত্বটাই যিনি ঠেলে দেন সাব ইন্সপেক্টরের ঘাড়ে?


আরও পড়ুন ‘দই চিকেন’ বানানোর পদ্ধতিটা শিখে নিন


সিনেমা আর বাস্তবের বিশেষ ফারাক নেই। অন্ততটা তেমনটাই দাবি কমল দের। আর সেই দাবি নিয়ে কমলবাবু সোজা পৌছে গেছেন হাইকোর্টে। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে ঠুকে দিয়েছেন জনস্বার্থ মামলা। ভুঁড়ি নিয়ে মামলা? তাও পুলিসের? ব্যাপারটা কী? কমল দে-র দাবি, পুলিসের চাকরির ক্ষেত্রে ফিটনেস অন্যতম বাধ্যতামূলক শর্ত। আর ঠিক এই জায়গাটাতেই ডাহা ফেল পুলিসের এক শ্রেণির কর্মী।


ভুঁড়ি থাকায় রাজ্য পুলিসের এক শ্রেণির কর্মী পুরোপুরি ফিট নন। ভুঁড়িওয়ালা আনফিট পুলিস কী করে চোর ধরবে? অভিযোগে থামেননি কমলবাবু। প্রমাণ হিসাবে আদালতে পেশ করেছেন মোটাসোটা ভুঁড়িওয়ালা পুলিসের একাধিক ছবি। মামলাকারীর মতে, নেয়াপাতি ভুঁড়ি নিয়ে দৌড়তে গিয়েই চোরের নাগাল পাচ্ছে না পুলিস।


পুলিসের ভুঁড়ি নিয়ে উদ্বিগ্ন আদালতও। সত্যিই তো আম জনতার নিরাপত্তার দায় যাঁদের কাঁধে তাঁরাই যদি আনফিট হন তবে, নিরাপত্তা দেবে কে? কমলবাবুর মামলা তাই গুরুত্ব দিয়ে শোনেন বিচারপতি নিশীথা মাত্রে। প্রশ্ন তোলেন, ভুঁড়িধারী পুলিসের পক্ষে কি আদৌ ফিট থাকা সম্ভব?


আরও পড়ুন জেনে নিন পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য কত উপকারী


সরকারি কৌসুলি যুক্তি দেন, মোটা হয়ে যাওয়া বা ভুঁড়ি হওয়া শুধু এ রাজ্যের সমস্যা নয়। এটি এখন সারা পৃথিবীর মানুষের সমস্যা। এটা এক ধরণের অসুস্থতা। সরকারি আইনজীবীর যুক্তিতে বেজায় বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। নিশিথা মাত্রে বলেন, মোটা পুলিস কী করে চোর ধরবে? পুলিসের শারীরিক সক্ষমতা ও ফিটনেস বজায় রাখতে রাজ্য সরকারের কী নীতি রয়েছে? প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্রসচিবকে এনিয়ে হলফনামা জমা দিতে হবে। তারপর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। সেদিন ঠিক হবে পুলিসের ভুঁড়িভাগ্য।