নিজস্ব প্রতিবেদন: তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের কাছেই ধূমপান একটি চাপ কাটানোর সরল উপায়। তবে বেশিরভাগই প্রথমত ঝোঁকের বশে বা শখে ধূমপানের প্রতি আকৃষ্ট হন। কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, ধূমপায়ী পুরুষদের স্পার্ম কাউন্ট কমে যায়। ধূমপানের ফলে বেড়ে যায় বন্ধ্যাত্বের ঝুঁকি। শুধু পুরুষদেরই নয়, মেয়েদেরও ঊর্বরতাও কমিয়ে দেয় ধূমপান, মেন্সট্রুয়াল সাইকল অনিয়মিত হয়ে যেতে পারে এই ধূমপানের ফলে। ঋতুস্রাবের (মেনোপজ) সময় এগিয়ে আসে। সার্ভিক্স-সহ অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কলকাতায় প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষের এই অভ্যাস রয়েছে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষা জানা গিয়েছে, ভারতে প্রায় ৯ কোটি পুরুষ ও ১.৩ কোটি মহিলার রয়েছে এই অভ্যাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বর্তমানে রাস্তাঘাটে মহিলাদের ধূমপান একটি স্বাভাবিক ঘটনা। সম্প্রতি এই বিষয়ে একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুরুষদের তুলনায় মহিলারাই ধূমপানে বেশি আসক্ত। সমীক্ষাটি করেছিল ‘অ্যাসোচ্যাম’ নামের একটি সংস্থা। ‘অ্যাসোচ্যাম’-এর এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদ, হায়দ্রাবাদ, জয়পুর, পুনে, মুম্বই এবং লখনৌ— এই শহরগুলির ২২ থেকে ৩০ বছর বয়সী ২০০০ জন মহিলার উপরে করা এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে দিনে ছেলেদের তুলোনায় মেয়েরাই বেশি ধূমপান করেন। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, যে সব মহিলা ধূমপান করেন, তার মাত্র ২ শতাংশই অতিরিক্ত ভাবে সিগারেটের প্রতি আসক্ত বা ‘চেইন স্মোকার’। বাকিরা কাজের চাপ বা মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতেই ধূমপান করে থাকেন। এবং এদের প্রত্যেকেরই শুরুটা ঝোঁকের বশে বা শখ থেকে হলেও পরে তা আসক্তিতে পরিনত হয়।


সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, মফঃস্বলের তুলনায় দেশের বড় শহরগুলিতেই মহিলা ধূমপায়ীর সংখ্যা বেশি। অনেকের আবার পছন্দ ফ্লেভার্ড সিগারেট। যেমন, মেন্থল সিগারেট অনেকেই খান। সম্প্রতি এক মার্কিন গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, মেন্থল সিগারেট সাধারণ সিগারেটের চেয়েও অনেকগুণ বেশি ক্ষতিকারক। বিখ্যাত একটি মার্কিন তামাক উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মিচ জেলার একটি সাক্ষাত্কারে জানান, মিন্ট সিগারেটে তামাকের পরিমাণ মোটেও কম থাকে না। সাধারণ সিগারেটের মতোই একই পরিমাণ তামাক থাকে এতে। এরই সঙ্গে যুক্ত করা হয় বিশেষ রাসায়নিক যা সিগারেটে মিন্ট স্বাদ এনে দেয়। ফলে এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর!