নিজস্ব প্রতিবেদন: যম দেবতাকে ভয় পান সাধারণ মানুষ। পাওয়ারই কথা। যম আর মৃত্যু তো সমার্থক। তাই ভীতি থেকেই হোক আর কোনও সংস্কার থেকেই হোক, যমপুজোর খুব একটা রেওয়াজও নেই সাধারণ মানুষের মধ্যে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তবে যম বেদ-উপনিষদ, পুরাণ, মহাভারতে ফিরে ফিরে এসেছেন। তিনি ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। কালো এক মহিষের পিঠে চেপে ঘুরে বেড়ান এই যমদেবতা, তাঁর হাতে থাকে একটি গদা।


সপ্তাহের এমন কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই, যেদিন নিয়মিত যমের পুজো করা হয়। এমনকি কোনও মাসও নির্দিষ্ট নেই যে-মাসে তাঁর পুজো করার বিধি আছে। তবে আশ্বিন মাসের ত্রয়োদশতম দিনটিতে তাঁর পুজোর বিধি আছে। বিশ্বাস, আশ্বিনের ত্রয়োদশতম তিথিতে কৃষ্ণপক্ষে যমরাজের পুজো করলে আকস্মিক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পরবর্তীকালে এই বিশেষ দিনটিই আবার ধনত্রয়োদশী বা ধনতেরাস নামে পরিচিত হয় সারা দেশে।


কেন অশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষে ত্রয়োদশতম দিনেই যমপুজোর বিধি? মর্ত্যে যমপুজো শুরু হওয়ার পিছনে একটি গল্প আছে। আর সেই গল্পের মধ্যেই রয়েছে ওই কারণটিও। 


একদা এক রাজার পুত্রসন্তান জন্মাল। জ্যোতিষীরা সন্তানের কোষ্ঠীবিচার করে রাজাকে সাবধান করে বললেন-- এ ছেলের বিয়ের চারদিন পরেই মৃত্যু হবে! শুনে ভীত হলেন রাজা। কিন্তু একদিন বিয়ে হল সেই রাজপুত্রের। বিয়ের পরে সব শুনে রাজাকে পুত্রবধূ তথা নববধূ কথা দিলেন, স্বামীর প্রাণ তিনি বাঁচাবেনই! বিয়ের চতুর্থ রাত্রে বাড়ির মূল দরজার সামনে রাজকন্যা তাঁর সমস্ত গয়না খুলে রেখে তার চারিদিকে প্রদীপ জ্বেলে দিলেন। মাঝরাতে যথারীতি যম এলেন। সাপের বেশে। কিন্তু দরজার সামনে আসতেই সোনার গয়নার ঝলকানিতে তার চোখ ধাঁধিয়ে গেল। প্রাসাদে না ঢুকেই ফিরে গেল সেই সাপ। মৃত্যুর মুহূর্ত পার হয়ে যাওয়ায় এই ভাবে রাজকন্যার চেষ্টায় বেঁচে গেলেন রাজপুত্র।


যমপুজো আসলে জীবনকে রক্ষা করে, মৃত্যুকে রুখে দেয় বলে বিশ্বাস। মানুষের আকস্মিক মৃত্যু বা অকাল মৃত্যুকে ঠেকিয়ে রাখে এই পুজোর অর্জিত পুণ্য। তাই ভয়ে-ভয়ে হলেও আয়ু বাড়াতে যমের পুজো জরুরি। আর সেটা করা ভালো আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশীতেই।


(Zee 24 Ghanta App: দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: সহজেই ১ টাকার বদলে ৪৫ হাজার টাকা পেতে চান? জানুন, কী ভাবে!