ওয়েব ডেস্ক : আমাদের শরীরে সামান্যতম অসুখ-বিসুখ হলেই আমরা বিচলিত হয়ে পড়ি। ডাক্তারের কাছে ছুটি। মুঠো মুঠো ওষুধ খাই। কিন্তু ঘরোয়া কিছু টোটকা রয়েছে, যা দারুণ সুফল দিতে পারে। কীরকম? আমাদের শরীরে রয়েছে অসংখ্য নার্ভ, অনেক প্রেশার পয়েন্ট। আর সেই প্রেশার পয়েন্টগুলোর ঠিকঠাক ব্যবহারই অনেক শারীরিক সমস্যা সারিয়ে দিতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক,


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১) গলায় খুসখুস- গলা জ্বালা, গলা খুসখুস করলে খাওয়াদাওয়া বিষম সমস্যা হয়ে দেখা দেয়। সামান্য ঢোঁকটুকুও গেলা যায় না। জল খেতেও অসুবিধা। কানের লতিটাকে ধরে বেশ কয়েকবার ভালো করে মুচড়ে দিন।


২) মাথা ধরা- মাথা ধরা থেকে উপশম পেতে এক গ্লাস বরফ ঠান্ডা জল ঢকঢক করে খেয়ে নিন।


৩) সূঁচ ফোটালে ব্যথা- শরীরে সূঁচ ফোটাতে অনেকেই ভয় পান। সূঁচ ফোটানোর ওই মুহূর্তে হাল্কা করে একটু কেশে নিন। দেখবেন, কোনও যন্ত্রণাই টের পেলেন না।


৪) নাক বন্ধ- সর্দিতে যখন নাক বন্ধ হয়ে যায়, তখন হাজারবার হেঁচেও সেই সমস্যার সমাধান হয় না। জিভটা উল্টে তালুতে ধাক্কা মারুন। আর দুই আঙুল দিয়ে ভুরু দুটো টেনে ধরুন। মুহূর্তে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে।


৫) ফোস্কা- গরম জল, চা, তেল ছিটে এলে এখন থেকে আর জল, বরফ বা পেস্ট না দিয়ে ওই জায়গাটি দু আঙুলের মাঝে চেপে ধরুন। গ্যারান্টি রইল কোনও ফোস্কা পড়বে না। কোনও দাগও হবে না।


৬) দাঁতে যন্ত্রণা- হাতের তালুর উল্টোদিকে বরফের টুকরো রাখুন। তারপর তর্জনী ও বুড়ো আঙুলের মাধের জায়গাটিতে সেই বরউের টুকরো ফরওয়ার্ড ও ব্যাকওয়ার্ড মোশনে ঘষুন। এবার ম্যাজিকটা দেখুন। হাতের এই অংশে থাকে অসংখ্য নার্ভ। যা মস্তিষ্কে ব্যথার সিগন্যাল পাঠায়। বরফ ঘষায় সেই সিগন্যাল যাওয়া বন্ধ হযে যাবে।


৭) মাইগ্রেনের ব্যথা-  একহাতের তর্জনী ও বুড়ো আঙুলের মাঝের জায়গাটি অপর হাতের তর্জনী ও বুড়ো আঙুলের মাঝের জায়গা দিয়ে ঘষুন। মিনিট দুয়েক চেপে ধরে রাখুন। আঙুলগুলোকে আস্তে আস্তে ঘোরানোর চেষ্টা করুন। এরফলে মাথা ও ঘাড়ে রক্তসঞ্চালন বাড়বে। ব্যথার উপশন হবে।