নিজস্ব প্রতিবেদন:  ওজন বাড়ার জন্য দায়ী  আপনার অনিয়ম। অনিয়ন্ত্রিত উপায়ে খাদ্য গ্রহণের ফলেই বাড়ছে আপনার দেহে স্থূলতা, মেদ।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


নিয়ম মেনে চললে কখনই এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না আপনাকে।  ওজন কমানোর জন্য অনেকেই না বুঝে খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দেওয়া গুরুতর অন্যায়। যার কারণে অসুস্থ হওয়ার পাশাপাশি দুর্বল হয়ে পরবেন আপনি।  এছাড়়াও, নানা মুনির নানা মত নিয়ে যে ডায়েট চার্ট তৈরি করে ফেলে অনেকে তা আরও সর্বনাশ ডেকে আনে জীবনে। কারণ আপনার শরীর যে রুটিনে অভ্যস্ত ছিল সেই রুটিন হঠাৎ ভেঙে দিলে প্রভাব পরে বায়োলজিকাল ক্লকে। 



তাই, ওজন কমাতে খাবার কমানো নয়, অবলম্বন করুন রুটিন।  যে রুটিনের আওতায় অবশ্যই রাখবেন------


  • ব্রেকফাস্ট বাদ দেবেন না। পেট পুরে ব্রেকফাস্ট করুন। সকালে ভাত খেলেও কোনও সমস্যা হবে না। কারণ, সারাদিনের খাটনিতে সেই ভাতের প্রভাব শরীরে পড়বে না। অথচ পেট ভরা থাকবে। ব্রেকফাস্ট না করলে খিদে পেয়ে যায়। যার ফলে দুপুরে বেশি খাবার খাওয়ার প্রবণতা থাকে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন ব্রেকফাস্ট বাদ দিলে ওজন তো কমেই না বরং আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

  • রোজ ঘাম ঝড়ান শরীর থেকে। হাঁটুন, বা লাফান দরি নিয়ে ব্যায়াম করুন। অথবা হাল্কা শরীর চর্চা করুন। যদি নির্দিষ্ট সময়ে শরীর চর্চা করেন, মনে রাখবেন আপনার বায়োলজিকাল ক্লক তাতেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে। 

  • খাবার খাওয়ার ১৫ মিনিট আগে জল খাবেন এক গ্লাস।  এতে যে খাবারটি আপনি খাবেন তার পরিমাণ নির্দিষ্ট হয়ে যাবে। বেশি খেয়ে ফেলার আগেই পেট আপনাকে জানান দিয়ে দেবে যে সে ভরে গিয়েছে। এতে বেশি খেয়ে ফেলার মতো ভুল করবেন না। এছাড়াও, যে খাবারটি খাবেন তা সহজে হজম হয়ে যাবে। 

  • প্রচুর ফল ও শাকসবজি খান।  শাকসবজি ও ফলমূলে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে এবং উচ্চ পরিমাণে ফাইবার থাকে। যার ফলে বেশি পরিমাণে খেলেও ওজন বাড়ার প্রবণতা থাকবে না। 

  •  গ্রিন টি খান। গ্রিনটির মধ্যে ফ্ল্যাভোনিয়েডস এবং ক্যাফেইন থাকে। যা মানুষের দেহের বিপাক ক্ষমতা ও কর্মক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

  • খাবার খাওয়ার পর কতটুকু ক্যালোরি যাচ্ছে আপনার শরীরে তা যদি জানতে পারেন। তাহলে প্রত্যেকদিন সেটি মেপে খান। 

  • প্যাকেটজাত খাবার থেকে দূরে থাকুন। 

  • নির্দিষ্ট সময় না ঘুমালেও বাড়তে পারে ওজন। 



মোদ্দা কথা আপনাকে দিনের শুরু থেকে শেষ রুটিন মাফিক চলতে হবে। তবে কমতে পারে ওজন।